IND vs SA: ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজে তিন অধিনায়ক, বিশ্বরেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার
ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিলেন তিন জন। প্রথম ম্যাচে তেম্বা বাভুমা নেতৃত্ব দেন। তিনি অসুস্থ থাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়ক হন কেশব মহারাজ। সিরিজ নির্ণায়ক তথা তৃতীয় ম্যাচে কেশব মহারাজকেও বিশ্রাম দেওয়ায় নেতৃত্ব দেন ডেভিড মিলার।
বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাই প্রথম দল, যারা অন্তত পক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রতিটা ম্যাচেই আলাদা আলাদা অধিনায়ককে ব্য়বহার করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের তিন ম্যাচে আলাদা অধিনায়ক ব্যবহার করার আগে অবশ্য ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩ জন আলাদা অধিনায়ক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চার জন আলাদা অধিনায়ক। কিন্তু ওডিআই-এ এমন ঘটনা ঘটল এই প্রথম বার।
এ বার ভারতের বিরুদ্ধে তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে ৯ রানে জয় দিয়ে ওডিআই সিরিজে যাত্রা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্ত কেশব মহারাজ এবং ডেভিড মিলারের নেতৃত্বে পরপর দুই ম্যাচই ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে প্রোটিয়া ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: ৯৯ করে জেতা যায় না- সিরিজ হেরে হতাশায় ডুবলেন ডেভিড মিলার
মঙ্গলবার দিল্লির বৃষ্টিতে ভেজা আবহাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে মঙ্গলবার টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শিখর ধাওয়ান। তাঁর এই সিদ্ধান্ত কাজে লেগে যায়। দিল্লির ২২ গজে সুবিধা করতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ২৭.১ ওভারে মাত্র ৯৯ রানেই শেষ হয়ে গেল সফরকারীদের ইনিংস। ভারতীয় স্পিনারদের বল বুঝতেই পারলেন না ডেভিড মিলাররা।
প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিক ক্লাসেন, জানেমন মালান এবং মার্কো জানসেনের ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বাকিরা কেউই দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ক্লাসেনের ব্যাট থেকে এল ৪২ বলে ৩৪ রান। চারটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ওপেন করতে নেমে মালানের সংগ্রহ ২৭ বলে ১৫। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার। এ ছাড়া মার্কো জানসেনের সংগ্রহ ১৯ বলে ১৪। বাকিরা কেউই উইকেটে থিতু হতে পারলেন না।
আরও পড়ুন: পন্টিংয়ের স্বপ্নের দলের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল টিম ইন্ডিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতেই ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর পর ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, শাহবাজ আহমেদরাও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিলেন। ভারতের সফলতম বোলার কুলদীপ মাত্র ৪.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। বিয়র্ন ফরটুইন এবং এনরিখ নরকিয়াকে পর পর দু’বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন কুলদীপ। যদিও সেটা কাজে লাগেনি। ১৫ রানে ২ উইকেট নিলেন ওয়াশিংটন। ১৭ রানে ২ উইকেট সিরাজের। বাংলার শাহবাজ ২ উইকেট নিলেন ৩২ রান খরচ করে।
জয়ের জন্য ১০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতে আগ্রাসী মেজাজ দেখালেও শিখর ধাওয়ান ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ৮ রান করে রান আউট হয়ে গেলেও উইকেটের অন্য প্রান্তে মেজাজে ছিলেন শুভমন গিল। তিন নম্বরে নেমে ইশান কিষাণও করলেন মাত্র ১০ রান। তবে ৫৮ রানে ২ উইকেট হারালেও লক্ষ্য বেশি না হওয়ায় সমস্যা হয়নি ভারতের। শুভমনের সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন শ্রেয়স আইয়ারও। দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিয়ে আউট হন শুভমন। ৫৭ বলে ৪৯ রান করলেন আটটি বাউন্ডারির সাহায্যে। এক রানের জন্য মিস করলেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স ২৮ রানে এবং সঞ্জু স্যামসন ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ফরটুইন ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট এবং লুঙ্গি এনগিডি ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ৭ উইকেটে তৃতীয় ওডিআই জিতে সিরিজ পকেটে পোড়েন শিখর ধাওয়ানরা।
For all the latest Sports News Click Here