IND vs SA-র দ্বিতীয় T20 হবে ICC-র নতুন নিয়মে, জেনে নিন সেগুলি কী?
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই সিরিজের মাঝখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক নিয়ম পাল্টে যাচ্ছ।সেই নতুন নিয়মেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলা হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ আইসিসি ইতিমধ্যেই খেলার কন্ডিশন অর্থাৎ নিয়মে পরিবর্তন ঘোষণা করেছে, যা ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে ২ অক্টোবর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নতুন নিয়মে খেলা হবে। এখন জেনে নিন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন কোন নিয়মে পরিবর্তন আসতে চলেছে-
১) ক্যাচ আউটে ব্যাটারের অবস্থান
এl দিন ধরে চলমান নিয়মে ক্যাচ আউটের বেলায় বলটি ফিল্ডারের হাতে বন্দি হওয়ার আগে দুই ব্যাটার যদি নিজেদের ক্রস করে ফেলেন, তা হলে নতুন ব্যাটার নন স্ট্রাইক প্রান্তে খেলা শুরু করেন। তবে এখন থেকে নতুন নিয়মে আর এটি হবে না। নতুন ব্যাটার সব সময়ে আউট হওয়া ব্যাটারের প্রান্তেই ব্যাটিং শুরু করবেন।
২) লালার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা
করোনার কারণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বলের লালা প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখন তা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাইহোক, বোলাররা তাদের ঘাম ব্যবহার করে বলকে উজ্জ্বল করতে পারে।
আরও পড়ুন: কোহলির ভুলে DRS নষ্ট, ভাইরাল বিরাটের প্রতিক্রিয়া
২) ক্রিকেট বলে লালার ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
করোনার সময়ে সংক্রমণ রোধে ক্রিকেট বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল আইসিসি। কোনও দল এই ভুল একবার করলে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হতো। দ্বিতীয় বার করলে বোলার এবং অধিনায়ককে শাস্তি দেওয়া হত। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, লালার ব্যবহারের উপর স্থায়ী ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
৩) ব্যাটিং শুরুর জন্য কমলো সময়
এখন থেকে ওয়ানডে এবং টেস্টে কোনও ব্যাটার আউট হওয়ার পর দু’মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আগের নিয়মে ওয়ানডে এবং টেস্টে ব্যাটাররা এ ক্ষেত্রে তিন মিনিট সময় পেতেন। অন্য দিকে টি-টোয়েন্টিতে আগের মতোই তিন মিনিট বহাল থাকছে।
৪) পিচ ব্যবহারে ব্যাটারের অধিকার
যে কোনও ডেলিভারি মোকাবিলা করার জন্য ব্যাটারের ব্যাট অথবা শরীরের যে কোনও অংশ পিচের ভেতরেই থাকতে হবে। অন্যথায় এটি ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। একই ভাবে বোলারের কোনও ডেলিভারি যদি ব্যাটারকে পিচের বাইরে নিয়ে যায় তাহলে সেটি নো বল ডাকা হবে।
৫) ফিল্ডিং দলের অনৈতিক জায়গা পরিবর্তন
কোনও বোলার তার রানআপ শুরু করে দেওয়ার পর ফিল্ডিং দল তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবে না। এখন থেকে এটি ধরা পড়লে ফিল্ডিং দলকে পাঁচ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে, পাশাপাশি সেই ডেলিভারিটি ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: T20-তে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর হাফসেঞ্চুরি রাহুলের,গড়লেন আরও লজ্জার রেকর্ড
৬) নন স্ট্রাইকারকে মানকাডিং আউটের বৈধতা
এখন থেকে মানকাড আউটও সাধারণ রানআউটের মতোই গণ্য হবে। এর আগে মানকাডিং বৈধ হলেও সেটি নিয়ে বিশুদ্ধবাদীরা নাক সিঁটকেছেন। এটি স্পিরিট অফ ক্রিকেটের পরিপন্থী বলে গণ্য করেছেন তারা।
৭) স্ট্রাইকারকে রানআউটের চেষ্টা বাতিল
এত দিন ধরে চলা নিয়মে কোনও বোলার যদি বোলিং করার সময় পপিং ক্রিজে ঢোকার আগেই দেখেন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে চলে এসেছেন, তা হলে বল না করে থ্রো করে ব্যাটারকে রানআউট করতে পারতেন। নতুন নিয়মে এই চেষ্টা করা যাবে না। এটি করা হলে ডেলিভারিটি ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
৮) হাইব্রিড পিচ ব্যবহারের অনুমোদন
এখন থেকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে যে কোনও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাইব্রিড পিচ ব্যবহার করা যাবে। এত দিন ধরে শুধুমাত্র মেয়েদের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে হাইব্রিড পিচ ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কোনও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিচের ব্যবহার অভিন্ন রাখতে এখন থেকে সব ম্যাচেই এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাইব্রিড পিচ বলতে বোঝায় কৃত্রিম পিচ। এই সব পিচ সাধারণত প্রাকৃতিক ঘাস এবং সিনথেটিক ফাইবারের সমন্বয়ে বানানো হয়। হাইব্রিড পিচে আগে থেকেই ঠিক করে নেওয়া হয় এটি স্পিন/পেস/ব্যাটিং সহায়ক হবে কি না। তাই এই পিচের ব্যবহার কিছুটা হলেও ব্যাটারদের স্বস্তি দেবে।
৯) ম্যাচ চলার সময়ে পেনাল্টি শুরু ওয়ানডেতেও
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্লো ওভার রেটের পেনাল্টি, ম্যাচের মধ্যেই দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংস শেষ করতে না পারলে বৃত্তের বাইরে একজন কম ফিল্ডার নিয়ে খেলতে হয় ফিল্ডিং দলকে। চলতি বিশ্বকাপ সুপার লিগ শেষে ওয়ানডে ক্রিকেটেও এটি শুরু করা হবে।
For all the latest Sports News Click Here