IND vs SA: এই পিচে ১০৭ তাড়া করা কঠিন ছিল- দাবি রোহিতের, পিচ নিয়ে বিরক্ত বাভুমাও
তিন বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির আসর বসেছিল তিরুবনন্তপুরমে। আর দক্ষিঁ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই টিম ইন্ডিয়ার দুরন্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বাড়ি ফেরেন দর্শকেরা। তবে সব কিছুর মাঝেই প্রশ্ন উঠে গেল গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে। এত সবুজে ভরা পিচ, সাম্প্রতিক কালে ভারতের কোনও মাঠে দেখা গিয়েছে কি না, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। পিচে এতটাই ঘাস ছিল যে, আউটফিল্ডের থেকে আলাদা করাই যাচ্ছিল না।
ম্যাচের আগেই পিচ পরীক্ষা করতে গিয়ে পমি এমবাঙ্গোয়া এবং অজিত আগরকর জানিয়েছিলেন, এই পিচে ব্যাট করা কঠিন। বাউন্ডারি যতই ছোট হোক, তা পার করা সহজ হবে না। হলও তাই। দলীয় সেঞ্চুরি পার করতেই কালঘাম ছুটল প্রোটিয়াদের। রান তাড়া করতে নেমেও যে ভারতকে ধাক্কা খেতে হয়নি, এমনটা নয়।
আরও পড়ুন: ম্যাচের সেরা হলে কী বলব, সেটা নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলাম, অকপট স্বীকারোক্তি আর্শের
ম্যাচের পর রোহিত শর্মা বলছিলেন, ‘আমরা জানতাম, পিচে ঘাস থাকায় বোলাররা সাহায্য পাবে। কিন্তু গোটা ম্যাচ জুড়েই যে বল সুইং করবে, সেটা বুঝতে পারিনি। এখনও পিচে আর্দ্রতা রয়েছে। এই পিচে ১০৭ রান তাড়া করা সহজ ছিল না। শুরুতে দু’টো উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় একটা জুটির দরকার ছিল। সেটাই রাহুল আর সূর্য করেছে।’ এর সঙ্গেই অবশ্য রোহিত যোগ করেন, ‘এই উইকেটে খেলা সহজ নয়। এই ধরনের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। জেতার জন্য দু’টো দলকেই কঠিন লড়াই করতে হয়। যে দল ভালো খেলে, তারা জেতে। এই ম্যাচেও সেটাই হয়েছে।’
উইকেট নিয়ে বেশ বিরক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। উইকেট যে এ রকম হবে, তিনি ভাবতেই পারেননি। ম্যাচের পর উইকেট নিয়ে নিজের বিরক্তি গোপন রাখলেন না। বললেন, ‘আমরা এটা আশা করিনি, আমরা এখানে দু’দিন আগে থেকে অনুশীলন করেছি। আমরা দেখেছি, উইকেটটি মশলাদার হয়েছে। তা বলে আমরা এমনটা আশা করিনি।’
আরও পড়ুন: ১৫ বলে ৫ উইকেট, বল হাতে বেনজির তাণ্ডব অর্শদীপ-চাহারের, ভিডিয়ো
পাওয়ার প্লে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়াকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেছেন রোহিত। তিনি বলেওছেন, ‘পিচের সাহায্য কাজে লাগিয়ে আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে দীপক ও আর্শদীপের কথা বলতেই হয়। যখন বল সুইং করে, তখন যে কোনও ব্যাটারের খেলতে সমস্যা হয়। পাওয়ার প্লে-তে ওদের পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়াটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।’
বুধবার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪১ রান করেন কেশব মহারাজ। এ ছাড়া এডেন মার্করামের ২৫ (২৪ বলে) এবং ওয়েন পার্নেলের ২৪ (৩৭ বলে) ছাড়া বাকিদের স্কোর দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছয়নি। ডাক করেছেন চার জন ব্যাটার। কেশব মহরাজ ৪১ রানের ইনিংস না খেললে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১০০ পার করত কিনা, সন্দেহ রয়েছে। আর্শদীপ সিং ৩ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেই তাঁর ৩ উইকেট প্রোটিয়াদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। এ ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার এবং হার্ষাল প্যাটেল। অক্ষর প্যাটেল নিয়েছেন ১ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে কেএল রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদব মিলিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ৫৬ বলে ৫১ করেন অপরাজিত থাকেন রাহুল। ৩৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন সূর্য। এ দিন অবশ্য রোহিত শর্মা (২ বলে ০) এবং বিরাট কোহলি (৯ বলে ৩) ব্যর্থ হয়েছেন। যাইহোক ভারত ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে ফেলে। ২০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় টিম ই দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা এবং এনরিখ নরকিয়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
For all the latest Sports News Click Here