GT vs SRH, IPL 2023: কেন ল্য়াভেন্ডার জার্সি পরে নেমেছেন হার্দিকরা?
গাঢ় নীল রঙের জার্সিতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত গত বছরের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। সেই নীলের পরিবর্তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে তারা পড়ে ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি। কিন্তু আইপিএলের ভরা মরশুমের মাঝে হঠাৎ জার্সির রং কেন বদলাল হার্দিক পাণ্ডিয়ার টিম?
গুজরাট টাইটান্স (জিটি) সোমবার (১৫ মে) মরশুমের তাদের শেষ ঘরের ম্যাচে একেবারে অন্য জার্সি পরে খেলতে নামে। এ দিন জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে। এর মাঝেই টাইটান্সের জার্সি পরিবর্তন। আসলে সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্যই ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে খেলতে নেমেছে টাইটান্স। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতেই হার্দিকদের এই উদ্যোগ। ক্যান্সার ভারত-সহ সারা বিশ্বেই অসুস্থতা এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। আর ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি গুজরাট টাইটান্স।
আরও পড়ুন: ধোনি কোনও ভাবেই পরের বছর খেলবে না- মাহির ইঙ্গিত দেখেই বড় দাবি ভারতের প্রাক্তনীর
ল্যাভেন্ডার রঙটি ইসোফেজিয়াল ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে সাধারণত সমস্ত ধরণের ক্যান্সারের প্রতীক হিসেবেই এখন ব্যবহৃত হয়। টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেছেন, ‘ক্যান্সার হল এমন একটি যুদ্ধ, যার সঙ্গে ভারতে সহ গোটা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ লড়াই করছে। আমরা এই মারাত্মক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সকলেই দায়বদ্ধ। ল্যাভেন্ডার জার্সি পরা হল ক্যান্সার রোগীদের বেঁচে থাকা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে সংহতি দেখানোর আমাদের ছোট্ট প্রয়াস। আশা করি, আমাদের এই উদ্যোগ অন্যদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং যারা এই যুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের সমর্থন করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরলে ODI WC-ও বয়কট করবে বাবররা- দাবি PCB চেয়ারম্যানের
প্রতি বছর আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে একটি করে ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলতে দেখা যায়। পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সবুজ জার্সি পরেন বিরাট কোহলিরা। তেমনই এ বার ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
২০১৫ আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের (তৎকালীন কিং ইলেভেন পঞ্জাব) বিরুদ্ধে ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসও (তখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) একটি ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে খেলতে নেমেছিল। যে ম্যাচটি ১মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই দিনটিকে ক্যান্সার ‘সারভাইভারস ডে’ হিসেবে গণ্য করা হয়। দিল্লি ক্যাপিটালস এমন কী যুবরাজ সিংয়ের এনজিও, ‘YouWeCan’-এর সাথে জুটি বেঁধেছিল।
যুবরাজ সেই সময়ে দিল্লি-ভিত্তিক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছিলেন এবং তিনি নিজেও একজন ক্যান্সার সারভাইভার। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই এই রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যান্সার জয় করে ফের ২২ গজে ফিরে আসেন। তবে এর জন্য যুবি প্রায় ১০ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন।
For all the latest Sports News Click Here