GT vs SRH: শতরানের চেয়েও বাল্যবন্ধুকে ছক্কা হাঁকাতে পেরে বেশি খুশি শুভমন গিল
সম্প্রতি লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকতে হয়েছিল। সে বার শতরানের খুব কাছে গিয়েও, পূরণ হয়নি ইচ্ছে। তবে কিছু দিন পরেই সেই সুযোগ এসে গেল। এ বার আর হাতছাড়া করলেন না সেঞ্চুরির সুযোগ। সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫৬ বলে শতরান করেই ফেললেন শুভমন গিল। এটি তাঁর প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি। স্বাভাবিক ভাবেই শতরানের পর তাঁর চোখেমুখে ছিল তৃপ্তির স্বাদ।
এ দিন ৫৮ বলে ১০১ করে আউট হন শুভমন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৩টি চার এবং ১টি ছয়ে। একেই আইপিএল প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন, তার উপর আবার দলও জিতে যায়। প্লে-অফও নিশ্চিত করে ফেলে টাইটান্স। ম্যাচের পর খুশিটা তাই চার গুণ হয়ে যায় শুভমনের। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে তাই নিজের উচ্ছ্বাস একেবারেই গোপন করলেন না শুভমন।
আরও পড়ুন: প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল গুজরাট, হেরে ছিটকে গেল হায়দরাবাদ
তিনি জানান, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচেই তাঁর আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল। আর প্রথম সেঞ্চুরিও তিনি করলে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই শুভমন বলছিলেন, ‘এসআরএইচের বিরুদ্ধে আমার আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল। এ বার তাদের বিরুদ্ধেই আমি সেঞ্চুরি করলাম। আমি খুবই খুশি। এটি আমার ক্যারিয়ারে একটি বৃত্ত পূরণ হল। আশা করছি, এই মরশুমে আরও সেঞ্চুরি পাব। তবে আমি নিজের খেলা শেষ ইনিংস নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। যেটা প্রয়োজন, সেটাতেই ফোকাস করি।’
তবে শুভমন সেঞ্চুরি করে যা না খুশি হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত বাল্যবন্ধুকে ছক্কা হাঁকাতে পেরে। হায়দরাবাদের অভিষের শর্মা আবার শুভমনের ছেলেবেলার বন্ধু। এ দিন অভিষেক এক ওভারই বল করেন। ১২তম ওভারে অভিষেক বল করতে এলে, শুভমন সেই ওভারে তাঁকে একটি ছয় ও চার হাঁকান। মোট ১৩ রান হয় এই ওভারে। ম্যাচের পর শুভমন তাই বলছিলেন, ‘সবচেয়ে সন্তোষজনক মুহূর্ত ছিল, যখন অভিষেককে ছক্কা হাঁকাই। কারণ ও আমার ছোটবেলার বন্ধু।’
আরও পড়ুন: W-W-W-1-W-1b- GT-র ইনিংসের শেষ ওভারে ভুবি ধামাকা, ডেথ ওভারে কাঁপুনি ধরালেন তারকা
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইটান্স নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান করে। শুভমন গিল ৫৮ বলে ১০৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। সাই সুদর্শন করেন ৩৬ বলে ৪৭ রান। হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে টাইটান্স বোলারদের দাপটে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে সানরাইজার্স। পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট পড়েছিল। আর ৫০ রানের মধ্যে পড়ে মোট ৬ উইকেট।
তবে হেনরিখ ক্লাসেনের ৪৪ বলে ৬৪ এবং ভুবনেশ্বর কুমারের ২৬ বলে ২৭ কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছিল হায়দরাবাদকে। পরে মায়াঙ্ক মার্কন্ডে ৯ বলে ১৮ করে সানরাইজার্সের ইনিংস ১৫০ পার করালেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৪-তেই থামে হায়দরাবাদের ইনিংস। ৩৪ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়। টাইটান্সের মহম্মদ শামি এবং মোহিত শর্মা ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন।
For all the latest Sports News Click Here