GT vs LSG: বাড়িতে তো দুই পয়েন্ট আসছে- মায়ের মনের কথা ম্যাচ হেরে বললেন ক্রুণাল
পাণ্ডিয়া ভাইদের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন ছোট ভাই হার্দিক। দাদা ক্রুণাল পাণ্ডিয়াকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে আমদাবাদ থেকে। আইপিএলের ইতিহাস প্রথম বার দুই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক ছিলেন দুই ভাই। স্বাভাবিক ভাবেই এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। শেষ পর্যন্ত গুজরাট টাইটান্স ৫৬ রানে হারায় লখনউ সুপার জায়ান্টসকে।
ম্যাচ হেরে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া বলছিলেন, গুজরাটের কাছে হারের ফলে তাঁর খারাপ লাগা থাকলেও, তাঁর মা খুশিই হবেন। কারণ ২ পয়েন্ট তো পরিবারেই এসেছে। ক্রুণাল ম্যাচের পর বলছিলেন, ‘আমার দল হারলেও, পরিবারের লোক খুশি। মায়ের দাবি, শেষ পর্যন্ত দুই পয়েন্ট তো ঘরেই এসেছে। আমার আর হার্দিকের মধ্যে খুবই ভালোবাসা রয়েছে। একে অপরের পিছনে লাগলেও, সেটা খুব সময়ের জন্য হয়।’
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে হতাশ, তবে পরের ম্যাচগুলিতে ফের সুযোগ আসবে, আশাবাদী গিল
ম্যাচ হারের কারণ বলতে গিয়ে ক্রুণাল বলেন, গুজরাট অনেক বেশি রান করে ফেলেছিল। ক্রুণাল বলেন, ‘এটা খুব বেশি রান ছিল। ২২৭ রানের পাহাড় হলে, প্রতিটা ওভারে চালিয়ে খেলতে হবে। ২২৭ রান তাড়া করতে নেমে কোনও ওভারেই স্লো ব্যাটিং চলবে না। ২০০ রানে তাও চলে। শেষ ৬-৭ ওভারে উইকেট কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছিল। তবে ব্যাটাররা বলেছিল, এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। আমরা যদি ওদের ২০০-২১০-এর মধ্যে আটকে দিতে পারতাম, তা হলে আমার একটা সুযোগ ছিল। তবে আমি কখনও ভাবিনি, আমি দলকে নেতৃত্ব দেব বা অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের মুখোমুখি হব।’
সুপার সানডে-তে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স রানের পাহাড় গড়়ে। গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিলই দলকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করেন। দুই ওপেনার শুরুটা পুরো বিধ্বংসী মেজাজে করেন। প্রথম উইকেটে ১৪২ রান করে টাইটান্স। ৪৩ বলে ৮১ করেন ঋদ্ধি। আর শুভমন ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ করেন। এ ছাড়া ১৫ বলে ২৫ করেন হার্দিক। ১২ বলে অপরাজিত ২১ করেন ডেভিড মিলার। ২ উইকেট হারিয়ে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২২৭ রান করে গুজরাট টাইটান্স। ১টি করে উইকেট নেন মহসিন খান এবং আবেশ খান।
আরও পড়ুন: বলের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন, তার পরেও দুরন্ত ক্যাচ নিলেন রশিদ, মানুষ নাকি চিল!- ভিডিয়ো
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি লখনউ। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭২ করে লখনউ। কাইল মেয়ার্স এবং কুইন্টন ডি’কক বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। কিন্তু ৮.২ ওভারে মোহিত শর্মার ফেরান মেয়ার্সকে। চোখধাঁধানো ক্যাচ নেন রশিদ খান। ৩২ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। মেয়ার্সের উইকেট পড়ার পর থেকেই রানের গতি কমতে শুরু করে লখনউয়ের। এর পর দীপক হুডা (১১ বলে ১১), মার্কাস স্টোইনিসরা (৯ বলে ৪) ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪১ বলে ৭০ করে কুইন্টন ডি’কক সাজঘরে ফিরলে লখনউয়ের আশা কমে আসে। আয়ুশ বাদোনি ১১ বলে ২১ করেছিলেন। কিন্তু জেতার জন্য সেটা একেবারেই কার্যকর ছিল না। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে লখনউ। মোহিত শর্মা একাই ৪ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি, রশিদ খান এবং নুর আহমেদ।
For all the latest Sports News Click Here