FRA vs ENG, FIFA WC 2022 QF Live: ফ্রান্স না ইংল্যান্ড- গতির লড়াইয়ে জিতবে কারা?
ফ্রান্স-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে ২ শিবিরেই আলোচনায় কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসিরা যখন গোলের জন্য এই স্ট্রাইকারের দিকে তাকিয়ে, তখন ইংরেজরা আবার এমবাপেকে আটকানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছেন। ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার যতই বলুন না কেন তাঁরা এমবাপেকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাঁরা ভালভাবেই জানেন, এই স্ট্রাইকার কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন এমবাপে। প্রতিটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। এই রেকর্ড শনিবারও বজায় রাখাই এমবাপের লক্ষ্য।
খেলা শুরু
ফ্রান্স না ইংল্যান্ড- হাইপ্রোফাইল দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কারা?
সাউথগেটকে সমীহ করছেন দেশঁ
ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট সম্পর্কে দেশঁর গলায় শ্রদ্ধার সুর। বলেছেন, ‘গ্যারেথ বড় মাপের কোচ। ও নিজেকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রমাণ করেছে। গত বিশ্বকাপের মতো এবার কাতারেও ওর কোচিংয়ে দল ভাল খেলছে।’
এমবাপে বড় বাজি দেশঁর
ফ্রান্স–ইংল্যান্ড মহারণের কেন্দ্রবিন্দুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ে যাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এ বারও প্রথম ম্যাচ থেকে দুরন্ত ছন্দে এবং গোলের মাঝে রয়েছেন তিনি। এতেই ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ আত্মবিশ্বাসী। দেশঁ বলে দিয়েছেন, ‘কিলিয়ান হল কিলিয়ানই। অপেক্ষা করুন কিলিয়ান ভেল্কির জন্য। মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ে দেবে, দলকে জেতাবেও।’
ইংল্যান্ড কি পারবে চোকার্স তকমা ঘোচাতে?
ইংল্যান্ড ফুটবল দলের বড় এবং শেষ সাফল্য ’৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার পর থেকে ইংল্যান্ডের বারবারই তীরে এসে তরী ডুবেছে। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের দুরন্ত দৌড় থেমে যায় ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে। গত ইউরো কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারটা ইংল্যান্ডবাসী এখনও হজম করে উঠতে পারেননি। নিজের ফুটবল জীবনের মতো কোচিং জীবনেও চোকার্স তকমা সেঁটে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচার এখন একটাই সুযোগ সাউথগেটের সামনে। হট ফেভারিট ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ট্রফি জেতার অন্যতম দাবিদার হওয়া। শুরু থেকে যে ধারাবাহিকতা নিয়ে খেলছে ইংল্যান্ড, তাতে ইংল্যান্ড ফুটবলপ্রেমীরা হ্যারি কেন, বিলিংহ্যাম, সাকা, র্যাশফোর্ড, গ্রিলিশ, গোলকিপার পিকফোর্ডদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
হুঁশিয়ারি হ্যারি কেনের
ব্রিটিশ অধিনায়কের দাবি করেছেন, শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই কাতারে এসেছেন তাঁরা। হ্যারি কেন বলেন, ‘আমরা এখানে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে আসিনি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই বিশ্বকাপ ফাইনাল নয়, তবে বিশ্বকাপ জেতার পথে একটা বড় ধাপ। আমাদের মনোযোগ সেদিকেই। পরের রাউন্ডে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। চার ম্যাচে তাঁদের গোল সংখ্যা ১২। ইংল্যান্ড অধিনায়ক মনে করছেন আগের বিশ্বকাপের থেকে এখন অনেক বেশি তৈরি ইংল্যান্ড দল। এই প্রসঙ্গে হ্যারি কেন বলেন, ‘২০১৮ সালে সেমিফাইনালে ওঠার পর সবাই আকাশে উড়ছিল। তবে আমাদের কি বিশ্বকাপ জেতার বিশ্বাস ছিল? আমার মনে হয়, না। আমি মনে করি এই বিশ্বাসটা তিন-চার বছর ধরে তৈরি হয়েছে এবং এখনও আছে। এই বিশ্বকাপে আমরা ট্রফি জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়েই এসেছি। রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় এবার আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ আজ ফ্রান্সকে হারিয়ে নিজেদের গা থেকে চোকার্স তকমা কি ঝেড়ে ফেলতে পারবে ইংল্যান্ড?
For all the latest Sports News Click Here