FIFA World Cup: ভারতীয় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাল আর্জেন্তিনা
গঞ্জালো মন্তিয়েল জালে বল জড়াতেই সেই মুহূর্ত। যার জন্য এতদিনের অপেক্ষা। মন্তিয়েল গোল করতেই জার্সি খুলে ছুটলেন দর্শকের দিকে। আকাশের দিকে হাত উঁচু করে ধপ করে মাঠে বসে পড়লেন মেসি। একের পর এক সতীর্থ ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর উপর। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর শাপমোচন। শেষবার আর্জেন্তিনার ঘরে বিশ্বকাপ এসেছিল ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার হাত ধরে। তারপর থেকে এতদিন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। সুযোগ তৈরি হয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্তাইন ফুটবলাররা।
এবছর লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ ছিল। তাতেই যেন আরও ক্ষিপ্রতা বেড়ে যায় আর্জেন্তিনা ফুটবল দলের। সঙ্গে ফ্যানদের আশাও। ফুটবলের জাদুকরকে যে কাপ পেতেই হবে। তবে মেসি কিন্তু হতাশ করলেন না। দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিলেন। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্ব জুড়ে যত আর্জেন্তাইন সমর্থক আছেন, তাঁদের মুখে হাসি ফোটালেন।
আরও পড়ুন:- FIFA World Cup Final: ব্রাজিল ভক্ত হয়েও মাঠে বসেই মেসিদের বিশ্বকাপ জয় উপভোগ করলেন সৌরভ-ডোনা
স্টেডিয়ামে উপস্থিত ফ্যানদের চোখে আনন্দ অশ্রু। মেসির শহর রোজারিওর রাস্তা তখন অবরুদ্ধ। নেমে এসেছে যে হাজার হাজার মানুষের ঢল। হাতে জাতীয় পতাকা মুখে মেসি ও আর্জেন্তিনীয় গান। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে উপমহাদেশের মাটিতে। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেলিব্রেশনে ভারতও। প্রত্যেকটি পাড়ায় পাড়ায় সেলিব্রেশনে করছেন মেসি ভক্তরা।
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই একটা উৎসব। ভারত বিশ্বকাপে না খেললেও, ভারতবাসীরা এই বিশ্বকাপে সামিল হন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আর্জেন্তিনা জিততেই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় মেতে উঠেছিলেন। এমনকি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কেরলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় একটি নদীতে মেসি, নেইমারদের কাটআউট এবং প্ল্যাকার্ড। সেই ছবি চোখ এড়ায়নি ফিফারও। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তা শেয়ার করে ফিফা।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: যুব বিশ্বকাপ জয়ের দীর্ঘ ১০ বছর পরে রঞ্জি অভিষেক বাংলার রবিকান্তের
এবার আর্জেন্তিনার ফুটবল দলের অফিসিয়াল পেজ থেকে টুইট করে ধন্যবাদ জানানো হয় ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে। একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘তোমাদের সমর্থন অতুলনীয় ছিল।’ ভারতের কেরলের নামও আলাদা করে লেখা হয়। আর এতেই আপ্লুত ভারতের আর্জেন্তিনীয় সমর্থকরা। তবে কিছুটা মন খারাপ কলকাতার। টুইটে স্থান না পাওয়ার জন্য। তবে মেসির সঙ্গে যেন তাদের আত্মার সম্পর্ক। এই শহরে পা দিয়েছিলেন মেসি। বছর কয়েক আগেই শেষবারের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন দিয়াগো মারাদোনা। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জমেছিল মানুষের ঢল। এই বিশ্বকাপ জয়কে মনে রাখবে বিশ্ব। মনে রাখবে এক প্রজন্ম।
For all the latest Sports News Click Here