East Bengal Transfer News: ইস্টবেঙ্গলের জালে ISL-র Golden Glove বিজয়ী গোলরক্ষক
East Bengal: কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলকে দলে তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। পঞ্জাবের এই ছেলেকে একাধিক বছরের চুক্তিতে দলে নিল লাল হলুদ ব্রিগেড। একদিন আগেই পঞ্জাবের ছেলে আনোয়ার আলিকে সই করিয়েছিল মোহনবাগান, এবার আর এক পঞ্জাবের ছেলেকে তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, চুক্তি সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এবার শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। জানা যাচ্ছে গিলকে দলে নেওয়ার জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সকে ১.৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবার ইস্টবেঙ্গলের লাল হলুদ জার্সি গায়ে তুলতে চলেছেন প্রভসুখান গিল।
যদি প্রভসুখানের ট্রান্সফার ফি বাবদ ইস্টবেঙ্গল কেরালা ব্লাস্টার্সকে ১.৫ কোটি টাকা দেয়, তাহলে গিল আইএসএল-এ সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া গোলরক্ষক হয়ে যাবেন। শোনা যাচ্ছে দু এক দিনের মধ্যেই কলকাতায় আসতে চলেছেন প্রভসুখন গিল। শোনা গিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স তাঁর চুক্তি নবায়ন করতে আগ্রহী ছিল, যদিও ইস্টবেঙ্গল তরুণ তারকাকে তাদের দলে যোগ দিতে রাজি করাতে সফল হয়েছে। জানা গিয়েছে গিল ভাইকেও ইস্টবেঙ্গল নিজেদের দলে নিয়েছে। প্রভসুখন গিল এবং গুরসিমরত সিং গিল দুজনকেই এবার ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে। মদানের আর এক সূত্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রভসুখন গিলের জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সকে ১.২ কোটি টাকার ট্রান্সফার ফি দিতে সম্মত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। জানা গিয়েছে গিল ভাইরা তাদের চিকিৎসার জন্য হয়তো আজই কলকাতায় আসতে পারেন।
প্রভসুখন গিলের সম্পর্কে বলতে গেলে বলা হয় যে ২২ বছরের এই গোলরক্ষক ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে নিজের পেশাদার ফুটবলের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে খেলার পরে বেঙ্গালুরু এফসিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার পরে কেরালার পথে যান তিনি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে দীর্ঘ চুক্তি করেন।
কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে আইএসএল-এ অভিষেক করেই জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন গ্লাভস। ২০২১-২২ মরশুমে তিন কাঠির তলায় দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেনি তিনি। তাঁর দল সেই বছরে ফাইনালে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। তবে দল হারলেও গোলকিপার প্রভসুখন জিতে নিয়েছিলেন সেরা গোলকিপারের খেতাব। কেরালার দলের গোলপ্রহরী গিল সে বার সাতটি ম্যাচে একটিও গোল খাননি। যে কৃতিত্ব আর কোনও গোলকিপার অর্জন করতে পারেনি। আরও বড় ব্যাপার হল, সেই সাতটি ম্যাচেই তাঁর দল পুরো তিন পয়েন্ট করে ঘরে তুলেছিল। সেই মরশুমে মোট ৪৭টি গোল বাঁচিয়েছিলেন এই তরুণ গোলরক্ষক, যাঁর সেভ পার্সেন্টেজ ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।
For all the latest Sports News Click Here