প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন প্রভসিমরন সিং। তবে দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ভুল করলেন না তিনি। চিন্নাস্বামীতে অর্ধশতরানের লড়াকু ইনিংসে উত্তরাঞ্চলকে লড়াইয়ের রসদ এসেন দিলেন তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার।
কেকেআরের হর্ষিত রানা চলতি দলীপ ট্রফিতে নিজেকে ক্রমশ অল-রাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকরী যোগদান রাখেন রানা।
তবে সেমিফাইনালের তৃতীয় দিনে আলাদা করে নজর কাড়েন বিজয়কুমার বৈশাক। আরসিবির হয়ে আইপিএল ২০২৩-তে রং ছড়ানো বিজয়কুমার দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৫ উইকেট নিয়ে উত্তরাঞ্চলকে ভাঙেন। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদেই জয়ের লক্ষ্য দক্ষিণাঞ্চলের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়নি।
চিন্নাস্বামীতে উত্তরাঞ্চলের ১৯৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে অল-আউট হয়। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩ রানের সংক্ষিপ্ত লিড হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে উত্তরাঞ্চল। তৃতীয় দিনে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ২১১ রানে।
আরও পড়ুন:- ফের ইডেনে এক লক্ষ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন, বড়সড় আপডেট দিলেন সৌরভ
প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে আউট হওয়া প্রভসিমরন দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৩ রান করে আউট হন। ৯৩ বলের ইনিংসে তিনি ১১টি চার মারেন। হর্ষিত রানা ৩৬ বলে ৩৮ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। উল্লেখ্য হর্ষিত প্রথম ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ৩১ রানের আকর্ষক ইনিংস খেলেন।
এছাড়া উত্তরাঞ্চলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ধ্রুব শোরে ৫, প্রশান্ত চোপড়া ১৯, অঙ্কিত কলসি ২৯, অঙ্কিত কুমার ২৬, নিশান্ত সিন্ধু ১৫, জয়ন্ত যাদব ১ ও বৈভব আরোরা ৪ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি পুলকিত নারাং ও বলতেজ সিং। দক্ষিণাঞ্চলের বিজয়কুমার ১৫ ওভারে ৭৬ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন সাই কিশোর। ৪৭ রানে ২টি উইকেট নেন কাভোরাপ্পা।
আরও পড়ুন:- Emerging Asia Cup 2023: বদলে গেল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিনক্ষণ, দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি
জয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২১৫ রানের। তারা শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের চায়ের বিরতিতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২১ রান তোলে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৫ ও সাই সুদর্শন ৬ রানে নট-আউট থাকেন। সুতরাং জয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের দরকার ১৯৪ রান।
অন্যদিকে দলীপের অপর সেমিফাইনালে মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চল ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৯২ রান তুললে বৃষ্টিতে কেলা বন্ধ হয়ে যায়। আপাতত পশ্চিমাঞ্চলের হাতে লিড রয়েছে ৩৮৪ রানের। চেতেশ্বর পূজারা ১৩৩ রানে আউট হন।
For all the latest Sports News Click Here
