Duleep: অনবদ্য কাভেরাপ্পা, জাতীয় দলে ব্রাত্যদের দৌলতে ভালো জায়গায় দক্ষিণাঞ্চল
কথায় আছে, ‘শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি’। দলীপ ট্রফির ফাইনালে পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। মূল লড়াইটা চলছে দুই দলের বোলারদের মধ্যে। তবে এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত চালকের আসনে দক্ষিণাঞ্চলই।
বৃহস্পতিবারই বিদ্বাথ কাভেরাপ্পার দাপটে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পঞ্চিমাঞ্চলের। দলীপ ট্রফির ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের শেষে ১২৯ রানে ৭ উইকেট ছিল পশ্চিমাঞ্চলের। সেখান থেকে শুক্রবার মাত্র ১২ রান যোগ করতে পারে পূজারাদের টিম। তার মধ্যেই বাকি তিন উইকেট পড়ে যায়। ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চলও যে দুরন্ত ছন্দে খেলছেন, এমনটা নয়। তাদেরও ব্যাটিং অর্ডার নড়বড় করছে। ১৭৯ রানেই সাত উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের। দলের ৮ রানের মাথায় ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সদ্য জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া তিলক বর্মাও এই ইনিংসে চূড়ান্ত হতাশ করেন। তিনে নেমে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ওপেন করতে নামা রবিকুমার সামর্থ ৫ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: ৯১ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বড় নজির যশস্বীর, অভিষেক সেঞ্চুরিতে গড়লেন একাধিক রেকর্ড
তবে দলের কিছুটা হলেও হাল ধরেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং হনুমা বিহারী। জাতীয় দলের দুই ব্রাত্য তারকা মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রান যোগ করে। মায়াঙ্ক ৬৮ বলে ৩৫ করে সাজঘরে ফেরার পর, খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি হনুমাও। তিনি ৮৯ বলে ৪২ করে সাজঘরে ফেরেন। ১০০ রানের আগেই পড়ে চার উইকেট।
এর পর রিকি ভুইয়ের ৩৭ এবং সচিন বেবির ২৮ রান বাদ দিলে বাকিদের হাল তথৈবচ। তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চলের স্কোর ৭ উইকেটে ১৮১ রান। ওয়াশিংটন সুন্দর ১০ এবং বিজয়কুমার বৈশক ১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে এই মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চলের লিড ২৪৮ রানের।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ- অভিষেকে সেঞ্চুরি করাটাই যেন অভ্যেস যশস্বীর
পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আরজান নাগওয়াসওয়ালা, অতীত শেঠ, ধর্মেন্দ্রসিংহ জাদেজা। ১ উইকেট নিয়েছেন চিন্তন গাজা। যদি শনিবার দক্ষিণাঞ্চলকে দ্রুত অলআউট করতে পারে, এবং ভালো ব্যাট করে সেই রান তুলতে পারে, তবে পশ্চিমাঞ্চলের শিকে ছিড়তে পারে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ২১৩ রান করেছিল। হনুমা বিহারী ৬৩ এবং তিলক বর্মা ৪০ রান করেছিলেন। ২৮ করেছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৪৬-এ গুটিয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল। একমাত্র পৃথ্বী শ’ ৬৫ করেছেন। হার্ভিক দেশাই ২১ করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে একাই ৭ উইকেট নেন কাভেরাপ্পা। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং অর্ডার। চেতেশ্বর পূজারা, সূর্যকুমার যাদব, সরফরাজ খানরা কিছুই করে উঠতে পারেননি। যাইহোক কাভেরাপ্পার দাপটেই আপাতত লড়াইয়ে পাল্লা ভারি দক্ষিণাঞ্চলের।
For all the latest Sports News Click Here