Didi No 1: নষ্ট করছে সবাইকে, সৌরভকে তাড়াতে চেয়েছিল স্কুল, পায়ে ধরে বাবা!
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ব্যাড বয় সৌরভ দাস। একাধিক বিতর্কে একাধিকবার নাম জড়িয়েছে তাঁর। একাধিক ওয়েব সিরিজ, সিনেমা অভিনয় করেছেন। ‘ভালো অভিনেতা’ হিসেবে নামও কুড়িয়েছেন। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি।
তবে শুধু এখনই না, স্কুলেও খুব ‘দুষ্টু’ ছিলেন সৌরভ। এতটাই যে এখনও ভাবলে মা অজন্তা দাসের ‘সুগার লেভেল কমে যাবে’! এমনকী, তাঁর থাকা সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরলের কারণ হিসেবেও ছেলেকেই দেখান অজন্তা।
সৌরভরা দুই ভাই-বোন। অভিনেতাই বড়। অজন্তা জানান, মেয়ে বরাবরই শান্ত। লেখাপড়া নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। আর ছেলে সৌরভ উলটোটা। পড়তে বসাতে কালঘাম ছুটে যেত মায়ের। অজন্তা জানান, ‘সৌরভ পড়তে ভালবাসত না। ফলে, যত ক্ষণ হাতে বই তত ক্ষণ সে দিকে চোখ দিয়ে বসে থাকতে হত। তার মধ্যেই ফাঁক পেলে অনবরত খেলা।’
নবম শ্রেণিতে থাকতে একদিন স্কুল থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল সৌরভের বাবাকে। শহরের নামকরা স্কুলে পড়তেন দুই ভাইবোন। সে যাই হোক, সৌরভের বাবাকে স্কুলে ডেকে প্রিন্সিপাল জানান, বাকি ছেলেদের দুষ্টুবুদ্ধি দিচ্ছে সে, সবাইকে ‘নষ্ট’ করে দিচ্ছে। তাই এমন ছাত্রকে স্কুলে রাখতে রাজি নন তিনি। তিনি জানিয়ে দেন এমন ছাত্রকে স্কুলে রাখার আর ইচ্ছে তাঁর নেই। সেদিন ‘প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে অনুরোধ’ করেছিলেন সৌরভের বাবা।
দাদাগিরি’-র একটি পর্বে হাজির হয়ে সৌরভ একবার জানিয়েছিলেন কীভাবে সৌরভকে ভালোবাসার জন্য তাঁকে স্কুল থেকে বহিস্কৃত হতে হচ্ছিল। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সৌরভ দাস। স্কুল বসে করে স্কুল যাচ্ছিলেন। সেইসময় কানে আসে তাঁর ‘প্রিয় ক্রিকেটার’-এর করা এক বিজ্ঞাপনকে উপলক্ষ করে বাসের পিছনের সিটে বসা একদল ছাত্র বেদম হাসিঠাট্টা করছে। একনাগাড়ে বেশ কিছুক্ষণ তা চলতে থাকে। বলে রাখা ভালো,স্কুলে তারা ‘শচীন-ভক্ত’ বলে পরিচিত। এরপরেই নিজেকে আর সামলাতে পারেননি সৌরভ। ‘দাদা’-র ব্যাপারে মস্করা, হালকা চালের কথাবার্তা বলতে থাকা ওই দলেরই একটি ছেলেকে বেমক্কা ঘুসি মেরে বসেন তিনি। ব্যাস! শুরু হয়ে যায় হৈ হট্টগোল। সৌরভের এই মারমুখি মূর্তি দেখে তাঁকে আটকাতে আসেন বাসের মধ্যেই বসে থাকা স্কুলেরই এক শিক্ষক। রাগের চোটে তাঁকেও জোর ধাক্কা মেরে হটিয়ে দেন অভিনেতা! এই ঘটনার জন্য়ও গার্জেন কল হয়েছিল বলেই জানিয়েছিলেন সৌরভ দাদাগিরিতে।
For all the latest entertainment News Click Here