DEXA টেস্ট কী? কেন ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাইয়ে BCCI বাধ্যতামূলক করছে এই পদ্ধতি?
ইয়ো ইয়ো টেস্টের কথা এতদিনে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের সবার জানা। কোহলি-শাস্ত্রী জমানায় ইয়ো ইয়ো টেস্ট নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। বেশ কয়েক দফায় সুরেশ রায়না, পৃথ্বী শ, বরুণ চক্রবর্তী, সঞ্জু স্যামসন, মহম্মদ শামিরা ইয়ো ইয়ো টেস্টে ফেলও করেছেন। তবে বিসিসিআই এবার ফিটনেসের যোগ্যতামান হিসেবে ডেক্সা টেস্টের প্রচলন করছে জাতীয় দলে। সুতরাং, এবার টিম ইন্ডিয়ায় নির্বাচিত হলে ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাশ করা ছাড়াও ডেক্সা টেস্টের বাধাও টপকাতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল, এই ডেক্সা টেস্ট কী এবং কেন সেটিকে ফিটনেস টেস্টের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করছে বিসিসিআই? দেখে নেওয়া যাক ডেক্সা টেস্ট আসলে কী।
ডেক্সা টেস্ট কী?
ডেক্সা টেস্ট একধরণের এক্স-রে প্রযুক্তি, যার সাহায্যে বডি ফ্যাটের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা, দুর্বল এবং চর্বিহীন মাংসপেশী চিহ্নিত করা, শরীরে জলীয় উপাদানের পরিমাণ বোঝা এবং সঠিকভাবে হাড়ের ঘনত্ব যাচাই করা সম্ভব। এটি একটি যন্ত্রণাহীন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
আরও পড়ুন:- বিপদসীমায় ধাওয়ান, কোপ পড়তে পারে সিনিয়র পেসারের ঘাড়েও, দেখুন বিশ্বকাপের জন্য BCCI-এর ২০ জনের তালিকায় থাকতে পারেন কারা
কেন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে চাইছে বিসিসিআই?
খেলাধুলোর জগতে ডেক্সা টেস্ট নতুন নয়। ক্রীড়াবিশ্বের প্রথমসারির দলগুলি অন্তত ১০ বছর ধরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে। প্রথমসারির ফুটবল ক্লাবগুলিতে এর প্রয়োগ দেখা যায়। আসলে ফিটনেস যাচাইয়ের অন্যান্য মানদণ্ডে একই ক্রীড়াবিদ ভিন্ন ভিন্ন ফল করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, একই ক্রিকেটার একাধিকবার ইয়ো ইয়ো টেস্টের মুখে পড়লে ভিন্ন ভিন্ন স্কোর করতে পারেন। তবে ডেক্সা টেস্টে শরীরের গঠনগত দিকগুলি নির্ভুল ও অভিন্নভাবে চিহ্নিত করা যায়।
আরও পড়ুন:- BBL 2022-23: স্টইনিসকে টাইমড আউট না দেওয়ায় আম্পায়ারের উপর ক্ষুদ্ধ স্ট্রাইকার্স, জেনে নিন ঠিক কী ঘটেছিল
ডেক্সা টেস্টে লাভ কী হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের?
ডেক্সা টেস্টের ফলে শরীরের কোন অংশে কত ফ্যাট রয়েছে, তা জানতে পারবেন ট্রেনাররা। ফলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের জন্য সেই মতো ট্রেনিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। বডি ফ্যাট কম থাকলে মাংশপেশী অনেক দৃঢ় হবে এবং গতি ও শক্তি পাবেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। জয়েন্টের উপর চাপ কমানো সম্ভব হবে ডেক্সা টেস্টের পরে প্রয়োজন মতো ট্রেনিং করলে যাতে হাঁটু, গোড়ালি ও পিঠের চোট কমানো সম্ভব হবে। বিশেষ করে পেস বোলারদের ক্ষেত্রে এই তিনটি জায়গার চোট অতি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
সুতরাং, ডেক্সা টেস্ট ক্রিকেটারদের বাহ্যিক ফিটনেস প্রমাণে যতটা না সাহায্য করবে, আভ্যন্তরীণ গঠনের সঠিক ছবি তুলে ধরবে ট্রেনারের কাছে। ডেক্সা টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল বাড়িয়ে তোলা ও চোট আঘাত থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।
For all the latest Sports News Click Here