CWG 2022: নিজের করা প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারলেন না পুনম, ব্যর্থ হল এক মায়ের লড়াই
শুভব্রত মুখার্জি
মা হওয়ার কয়েক মাস পরেই নিজের শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখেই অনুশীলনে ফিরতে হয়েছিল পুনম যাদবকে। ছোট্ট মেয়ে প্রিয়াংশিকে বাড়িতে রেখে ফের অনুশীলনে ফেরাটা মোটেও সহজ ছিল না তাঁর কাছে। অনেক আত্মত্যাগ তিনি করেছিলেন একটাই জিনিসকে মাথায় রেখে। আর সেটা হল কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে পদক জয়। অল্পের জন্য সেই পদক হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। সেই হতাশা তো রয়েছেই। পাশাপাশি মা হিসেবে নিজের কাছে করা প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারার ফলে বেড়েছে হতাশাও।
আরও পড়ুন: সহজে ছেলেরা, কষ্ট করে মেয়েরা, কানাডাকে হারিয়ে ভারত গেল সেমিতে
শেষ দুই বছরে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে পুনমকে। দুধের শিশু প্রিয়াংশির সঙ্গে দূরত্বের কারণে আরও বেড়ে গিয়েছিল সেই উৎকন্ঠা। সেই সময়েই নিজের কাছে তিনি নিজে এক প্রতিজ্ঞা করেন। নিজেকে প্রতিশ্রুতি দেন, ছোট্ট প্রিয়াংশিকে তিনি হতাশ করবেন না। যখন দুধের শিশুর কাছে ফিরবেন, তখন তাঁর গলায় পরা থাকবে সোনার পদক। এমনটাই আশা করেছিলেন পুনম। যদিও তা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। পুনম ক্লিন এবং জার্কে একটি সফলও উত্তোলন করতে না পেরে, একেবারে শেষ স্থানে শেষ করেছেন।
গেমসের ষষ্ঠ দিনের লাইভ আপডেট দেখতে ক্লিক করুন এখানে: https://bangla.hindustantimes.com/sports/cwg-2022-day-6-live-live-updates-of-birmingham-commonwealth-games-2022-day-6-31659514118205.html
না পারার হতাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে মেয়েকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মা হিসেবে রাখতে না পেরে। পুনম সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘এক মায়ের কাছে এর থেকে বড় যন্ত্রণা আর কি হতে পারে ? ভাগ্যে যতটুকু থাকে ততটুকুই পাওয়া যায়। সব কিছুই আগে থেকে নির্দিষ্ট থাকে। আপনি নিজের ভাগ্যকে বদলাতে পারেন না। তবে আমাদেরকে ফলাফলের কথা না ভেবে নিজের কাজটা করে যেতে হবে। প্রথম প্রথম আমার মেয়ের শরীর খুব খারাপ থাকত। সর্দি,জ্বরে ভুগত ও।ফলে আমি খুব চাপে থাকতাম। তবে আমার ফোকাস ছিল, দেশের হয়ে পদক জয়। ওর তখন বছর দুয়েকও বয়স হয়নি। তবে ও (প্রিয়াংশি) আমাকে একবারেই বিরক্ত করেনি। আমার সব সময় মনে হয়, ও যেন আমাকে অনেকটা বোঝে। আমি ওর জন্য গর্বিত। আমাকে বাস্তবকে স্বীকার করে নিতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। একজন মা হিসেবে নিজের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারার আক্ষেপ রয়েছে।’
For all the latest Sports News Click Here