CSK vs RCB: উত্থাপ্পা-শিবম ঝড়ের পর বোলারদের দাপট, জিতে দুরন্ত কামব্যাক ধোনিদের
চেন্নাই সুপার কিংসের পিঠ যে দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরপর চার ম্যাচ হেরে তারা একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল। আর সেই জায়গা থেকে কোনও টিম যদি কামব্যাক করে, তবে সেই ধাক্কা বিপক্ষ দলের পক্ষে সামলানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়। যেমন মঙ্গলবার সেই কঠিনতম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। যেন একটা ঝড় এসে উড়িয়ে নিয়ে গেল আরসিবি-কে। প্রথমে ব্যাটে। পরে বলে। কিছুতেই সিএসকে-র সঙ্গে টক্কর দিতে পারলেন না বিরাট কোহলিরা।
টসে জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসি। ওপেন করতে নেমে ফের ব্যর্থ হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ১৬ বলে ১৭ রান করে জোস হ্যাজলউডের বলে তিনি এলবিডব্লিউ হন। এর পর ক্রিজে আসেন মইন আলি। রবিন উত্থাপ্পা এবং মইন জুটি পোক্ত হওয়ার আগেই তারকা ব্রিটিশ অল রাউন্ডার রানআউট হয়ে যান। আইপিএলের অভিষেক ম্য়াচেই সুয়াশ প্রভুদেশাই দুরন্ত ফিল্ডি করে রানআউট করেন মইনকে। মাত্র ৩৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। তখন ক্রিজে আসেন শিবম দুবে।
৭ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান ছিল চেন্নাইয়ের। এর পর থেকেই শুরু হয় উত্থাপ্পা-শিবম তাণ্ডব। একেবারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন তাঁরা। মাত্র ৭৩ বলে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে এই জুটি। যা তৃতীয় উইকেটে বা তার নীচে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ৫০ বলে ৮৮ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বিরাট কোহলির হাতে যখন ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরছেন উত্থাপ্পা, তখন চেন্নাইয়ের স্কোর ২০০ পার করে গিয়েছে। উত্থাপ্পার ৮৮ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৯টি ছয়। ৪৬ বলে ৯৫ করে অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে। তাঁর ইনিংসটি ৫টি চার এবং ৮টি ছয় দিয়ে সাজানো। এই দুই ব্যাটারের তাণ্ডবেই চেন্নাই ৪ উইকেটে ২১৬ রানের বড় ইনিংস গড়ে। যা এ বার আইপিএলে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ রান। ব্যাঙ্গালোরের ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২ উইকেট নিয়েছেন। জোস হ্যাজেলউড নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই বড় ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালোর। ৫০ রানের মধ্যেই দলের চার মহারথী সাজঘরে ফিরে যান। মাত্র ৮ রান করে আউট হন ফ্যাফ। তিনে বিরাট কোহলি ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর পর অনুজ রাওয়াত ১২ রান করে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ১১ বলে ২৬ করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি।
ম্যাচের বিস্তারিত ফলাফল জানতে ক্লিক করুন এখানে:
৪ উইকেট হারিয়েও অবশ্য হাল ছাড়েনি ব্যাঙ্গালোর। শাহবাজ আহমেদ এবং সুয়াশ প্রভুদেশাই দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। অভিষেক ম্যাচে দুরন্ত ফিল্ডিং করে আগেই নজর কেড়েছিলেন সুয়াশ। এর পর দলের খারাপ সময়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ বলে ৩৪ করেন তিনি। তবে মহেশ থিকসানা তাঁকে বোল্ড করেন। এর পর দীনেশ কার্তিক নামলে শাহবাজ তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন। কিন্তু ২৭ বলে ৪১ করে থিকসানার বলে বোল্ড হন শাহবাজ। এর পর চেন্নাইয়ের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। তবে দীনেশ কার্তিক কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পাশে কাউকে পাননি। ১৪ বলে ৩৪ করে ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কার্তিক। সেই সঙ্গে আরসিবি-র ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস।
ব্যাট হাতে কিছু করতে না পারলেও রবীন্দ্র জাদেজা এ দিন বল হাতে ৩ উইকেট তুলে নেন। ৪ উইকেট নেন মহেশ থিকসানা। এ ছাড়া মুকেশ চৌধুরী এবং ডোয়েন ব্র্যাভো ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। লড়াই করেও ২৩ রানে হারতে হল আরসিবি-কে।
For all the latest Sports News Click Here