Boron: ‘আমার জীবনটাই বরবাদ করে দিল’, রুদ্রিক সিঁদুর পরাতেই রেগে লাল তিথি!
নায়রার সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীনই আমচকাই তিথির মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে রুদ্রিক।তবে তিথিকে বিয়ের এই প্ল্যানিংয়ে রুদ্রিক একা নয়, শামিল ছিল তাঁর ঠাম্মি আর বাবাও। এমনকি পুরোহিতের সঙ্গে নায়রার বিয়ের প্ল্যানিংটাও তাঁরাই আগেভাগে সেরে রেখেছিল। রুদ্রিকের এই কাণ্ডে রেগে আগুন তিথি, কেন সে এমনটা করল এই প্রশ্নের জবাব চায় সে। ‘এই বিয়ে আমি মানি না’, সাফ কথা তিথির। রুদ্রিক অবশ্য ভাঙলেও মোচকাবে না, মনের কথা না বলে জানাল- ‘ওই সময় আমার একটা ইমোশন চলে এসেছিল… এই মেয়েটা আমার জন্য এতো খেটেছে..’।
এরপরই তিথির শাসানি শুরু, শাড়ি-বালিশ ছুঁড়ে রুদ্রিককে মারধর শুরু করে দেয় সে। জানায়, বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে সে। তিথির দাবি, এমন ‘বাজে ছেলেকে’ সে বিয়ে করতে চায় না। রুদ্রিকের ফ্ল্যার্ট করবার স্বভাব নিয়ে খোঁটা দেয় সে। ঠাকমা অবশ্য সাফ জানায়, এখন সে এই বাড়ির আসল বউ। কোনওভাবেই সেই সম্পর্ক এড়িয়ে যেতে পারবে না সে। তিথির আরও বলে, ‘আমার কত সাধ ছিল একটা ভালো ছেলেকে বিয়ে করব, সে শিক্ষিত হবে, সুন্দর হবে’। পালটা রুদ্রিক বলে, ‘কেন আমি সুন্দর নয়?’
রুদ্রিককে অপরিণত, বাচ্চা ছেলে বলে রাগ দেখায় তিথি, এরপর ব্যাগ-পত্তর নিয়ে সোজা বাপের বাড়ি হাঁটা দেয়। যদিও বাপের বাড়ি গিয়েও নিজের সমস্যার কথা বলে বোঝাতে পারে না সে। মায়ের কাছে এই প্রশ্নের জবাব সে দিতে পারে না, রুদ্রিকের হাতে সিঁদুর পরায় সমস্যাটা কোথায়?
তিথি রুদ্রিকের উপর রেগে থাকলেও তাঁর মা কিন্তু জামাইয়ের সাপোর্টেই মুখ খুললেন। তিথি ব্যানার্জি পরিবারের নকল বউ থেকে আসল বউ-এর জায়গা নেওয়ায় দারুণ খুশি নন্দন ব্যানার্জি। বউমাকে তিনি জানিয়ে দেন, ‘রুদ্রিক তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছে তাই সিঁদুর দিয়েছে’। বিয়েটা তো হল, কিন্তু তিথির মন কীভাবে জিতবে ‘অপদার্থ, অপগণ্ড’ রুদ্রিক, এখন সেই নিয়েই এগোবে সিরিয়ালের গল্প।
For all the latest entertainment News Click Here