BCCI-এর সঙ্গে সংঘাতের পথে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি!
বছরের প্রথম দিনে প্রথম বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই বছরেই ভারতের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ হবে। হাতে রয়েছে দশ মাসেরও কম সময়। তার আগে ৩৫ টি ওয়ান ডে খেলবে ভারত। ফলে ক্রিকেটারদের চোট আঘাত একটা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। তাই ক্রিকেটারদের উপর নজরদারি করতে চায় বিসিসিআই।
সামনেই শুরু হবে আইপিএল। কমবেশি ভারতের প্রথম সারির সব প্লেয়ারই অংশগ্রহণ করবে সেই টুর্নামেন্টে। আইপিএলের দলগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই। ক্রিকেটারদের যাতে চোট-আঘাত নিয়ে সমস্য়ায় পড়তে না হয়, তার জন্য এবার থেকে আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। সঙ্গে আইপিএলে একজন প্লেয়ার কতটা পরিশ্রম করলেন, ম্যাচে কতক্ষণ বল করেছেন, সব তথ্য বিসিসিআইকে দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কিছু সিনিয়র প্লেয়ারের আইপিএল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে বোর্ড।
বছরের প্রথম দিন মুম্বইয়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পর্যালোচনার জন্য বৈঠকে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মা, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ, প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মাকে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি।
২০২২ সালে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া করা হয় । আসন্ন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে ২০ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আইপিএল চলাকালীন যাদের উপর নজর রাখবে বোর্ড। চোট পেলে দলগুলির সঙ্গে কাজ করবে NCA। আইপিএল চলাকালীন বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হবে আইপিএল দলগুলির থেকে।
বিসিসিআইয়ের এমন নির্দেশিকায় চটেছে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলি। এতদিন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএলের দল গুলির কাজে কোনও হস্তক্ষেপ করত না। তবে বর্তমানে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স বেজায় চাপে রেখেছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। শুধু তাই নয়, শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্স মোটেই ভালো নয়। তাই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতি যাতে আর না হয়, এবং চোট আঘাত না লাগেত তাই জন্য আইপিএলে নজরদারি করতে চায় বিসিসিআই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্রাঞ্চাইজি কর্তা বলেন, ‘বিসিসিআই কখনই বলতে পারে না কোন প্লেয়ার খেলবে আর কোন প্লেয়ারকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। তারা অবশ্যই ওয়ার্কলোডের দিকে নজর রাখতে পারে। কোনও তথ্য ভাগ করার জন্য বলতে পারে। তারা বলতে পারে না কোন প্লেয়ার কত ম্যাচ খেলবে। বা কোনও বোলার নির্দিষ্ট ওভার বল করবে।’
এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিসিসিআই জানায়, ওয়ানডে বিশ্বকাপের রোডম্যাপ নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রিকেটারদের উপর কতটা চাপ পড়বে, সে বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা বলা হয়েছে।
জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা জরুরি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফিরছে ক্রিকেটারদের ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। এবং আইপিএলে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের চোট-আঘাত লাগলে দেখভালের দায়িত্বে থাকবে NCA হাতে।
For all the latest Sports News Click Here