Aparajita: লুক টেস্টের দিন মেকআপের পর নিজের ছবি দেখে আসল সত্যজিৎ ভেবেছিলেন জিতু!
সত্যজিৎ রায়-র মতো দেখতে জিতু কমলকে দেখে প্রায় চমকে গিয়েছিল বাঙালি। মনে প্রশ্ন জেগেছিল, আসল না নকল? জানা গেল একই অবস্থা নাকি হয়েছিল অভিনেতা জিতু কমলেরও। লুক টেস্টের ফোটোয় নিজেকে দেখেও নাকি চিনতে পারেননি। পরে টিভির বড় স্ক্রিনে দেখে সেই ভুল ভাঙে।
সম্প্রতি আনন্দবাজার ডিজিটালের হয়ে কলম ধরেছেন জিতু। যেখানে নিজের সত্যজিতের মতো হয়ে ওঠার জার্নির কিছুটা অংশ তুলে ধরেছেন পাঠকদের জন্য। আর সেখানেই জানিয়েছেন ব্যস্ততার জন্য যখন আবীর চট্টোপাধ্যায় এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ায়, তা শপে বর হল তাঁর জন্য। নিজেকে ভেঙেচুড়ে নেওয়ার কাজ শুরু করলেন।
আবীরের বাবা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ এবং ছোট পর্দায় অভিনয়ের সুবাদে একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল জিতুর। তাই ফাল্গুনীর কাছে, তাঁর ছোট ছেলে সত্যজিৎ হচ্ছে এমন মনে হয়েছিল। ভালো করে কাজ করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। জিতুর কথায়, ‘পাঁচ বছর আগে ওঁর দেওয়া বিজয়া রায়ের লেখা ‘আমাদের কথা’ বইটি আমাকে খুব সাহায্য করেছে। অনেক গল্প শুনিয়েছেন। উপদেশ দিয়েছেন। চরিত্র হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন।’
তবে, সবচেয়ে বোধহয় অবাক হয়েছিলেন নিজেকে দেখেই। অনীক দত্তের মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুন্ডুর হাতেই তাঁর ভোলবদল। মেকআপের পর ছবি তোলা হতেই সবাই ক্যামেরায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেদিন। তবে, মেগার শ্যুটে ব্যস্ততা থাকায় জিতুকে ছাড়তে হয়েছিল সেট জলদি জলদি। পরে রাতে অনীক তাঁকে কিছু ছবি পাঠান মোবাইলে।
জিতু লিখেছেন, ‘‘অনীকদা কিছু ছবি পাঠিয়ে বললেন, ‘জিতু দেখে নাও।’ আমি ছবি দেখে দাদাকে বললাম, ‘দাদা, এই ছবিগুলো কত বার দেখেছি। আমার ছবি পাঠাও! কই সে গুলো’’?’ একই ভুল নাকি করেছিল নবনীতাও। সে তখন রান্নায় ব্যস্ত। ছবি দেখে বলেছিল, ‘হ্যাঁ, এগুলো দেখেছি’। পরে বড় স্ক্রিনে দেখে হাঁ হয়ে গিয়েছিল নবনীতা। জিতুর ভাষায়, ‘এক বার ছবিগুলো দেখছে। এক বার আমায়। যেন মেলাতে চেষ্টা করছে।’
For all the latest entertainment News Click Here