Aindrila Sharma: ‘চোখ খুলে ওর মুখটা দেখলাম…’, কতটা ভালোবাসলে সব্যসাচী হওয়া যায়?
কতটা ভালোবাসলে সব্যসাচী হওয়া যায়? মনকেমনের এই সময়ে এই প্রশ্ন অনেকের মনের ঘুরছে। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রয়াণের পর কেটে গিয়েছে গোটা একটা দিন। তবুও মন ভার। ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ঠিকই, তবে বাঙালি মনে রাখবে ২৪ বছরের প্রাণবন্ত মেয়েটার লড়াইকে, তাঁর জেদকে। দু-বার ক্যানসারকে হারালেও তিন নম্বরবার আর ধাক্কাটা নিতে পারলেন না।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য ঐন্দ্রিলার শরীরে ফিরে এসেছিল মারণরোগ ক্যানসার। সেই সময় অসম্ভব মনের জোর আর সব্যসাচীর ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়েই দ্বিতীয়বার ক্যানসার জয়ী হন ঐন্দ্রিলা। এরপর ভালোই কাটছিল সময়। সুস্থ হয়ে কাজেও ফেরেন ঐন্দ্রিলা। ক্যানসার জয়ের পর প্রথমবার ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানান ক্যানসারের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধের কাহিনি।
রচনাকে ঐন্দ্রিলা জানান ২০২১ সালেরর ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেশনের প্ল্যানিং ছিল তাঁর। আচমকাই ডান হাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রথমে বুঝতে পারেননি মারণ রোগ ফিরে এসেছে তাঁর শরীরে। পরে জানা যায়, ফুসফুসে টিউমার হয়েছে তাঁর। পরীক্ষার পর জানা যায়, সেটি ক্যানসারাস। ঐন্দ্রিলার কথা শুনে ততক্ষণে চোখের কোণে জল বাকিদের। গলা বুজে এসেছে রচনার।
এরপর ঐন্দ্রিলা জানান তাঁর মনের মানুষ সব্যসাচীর এই কঠিন সফরে কীভাবে পাশে ছিলেন সারাক্ষণ। ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে ছিলাম। দ্বিতীয় দিন কেমো চলছিল। হঠাৎ চোখ খুলে দেখি ও আমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অদ্ভূত শান্তি পেলাম। গোটা চিকিৎসায় অনেক শারীরিক কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু, মানসিক কষ্ট এক ফোঁটা পায়নি।
আর এই লড়াইয়ে শক্ত করে একজন তাঁর হাত ধরে ছিলেন। সেই মানুষটা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলা এই শোয়ে বলেছিলেন, ‘দিল্লিতে ছিলাম। দ্বিতীয় দিন কেমো চলছিল। একটু আগে ও বলছিল না কেয়ারিং করার মানুষের কথা, আমি শুরু থেকেই জানতাম ভগবান ঠিক পাঠাবে। আমি চোখ খুলে ওর মুখটা দেখলাম…অদ্ভূত একটা শান্তি। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। গোটা চিকিৎসায় অনেক শারীরিক কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু, মানসিক কষ্ট এক ফোঁটা পায়নি।’
২০১৭ সালে প্রথম আলাপ ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর। ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের সেটে পরস্পরের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব, যা গড়ায় ভালোবাসায়। এরপর সব কঠিন পরিস্থিতিতে ঐন্দ্রিলা ও তাঁর পরিবারের পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। শেষযাত্রায় প্রেমিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম, ঐন্দ্রিলাকে শেষবিদায়ও জানান তাঁর প্রেমিক। ঐন্দ্রিলার বাবার সঙ্গে অভিনেত্রীর মুখাগ্নিও করেছেন সব্যসাচী। এমন ভালোবাসা পূর্ণতা পেল না? তবে কি সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই অসম্পূর্ণ থেকে যায়? প্রশ্ন অনেকের মনেই!
For all the latest entertainment News Click Here