AIFF: ক্যাগের স্পেশাল অডিটের আওতায় এআইএফএফ
শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রীড়া জগতের ক্ষেত্রে হয়ত প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। যেখানে কোনও জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনকে ক্যাগের স্পেশাল অডিটের আওতায় আনা হচ্ছে। এআইএফএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির। এবার সেই দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখবে ক্যাগের স্পেশাল অডিট টিম। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মিনিস্ট্রি অফ স্পোর্টস এন্ড উইথ আফেয়ার্সের’ তরফ দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এআইএফএফের বিরুদ্ধে ক্যাগের এই স্পেশাল অডিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য দেশের খেলাধুলার ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম ঘটতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে একটি চিঠি লিখে ক্যাগের এই স্পেশাল অডিটকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে গত ৪ অর্থবর্ষে এআইএফএফের যত আর্থিক লেনদেন হয়েছে সমস্তটাই খতিয়ে দেখবে এই টিম। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ মরশুম থেকে শুরু করে ২০২০-২১ মরশুম পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব পরীক্ষা করবে ক্যাগের স্পেশাল অডিট টিম। ২০২২ সালের ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে একটি চিঠিটি লিখে ক্যাগের স্পেশাল অডিট টিমকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য ক্যাগের স্পেশাল সেলের তরফে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে এই অডিট করার বিষয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। যার উত্তর এই বছর মার্চের ৭ তারিখ এক চিঠি লিখে তাদেরকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনেকদিন ধরেই ক্যাগের কাছে এআইএফএফের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ জমা পড়েছিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এই অডিটের রিপোর্ট তাদের কাছেও জমা দিতে যাতে করে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে। এআইএফএফের বিষয়ে অবশ্য ক্যাগের এই স্পেশাল অডিটের বিষয়ে তারা কোনও চিঠি পাননি বলেই জানিয়েছেন। উল্লেখ্য এআইএফএফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিমধ্যেই ১২ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল। ফলে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে যে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে তার মধ্যে দিয়ে তার আর ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। এখন পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে করছ দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এআইএফএফের গোটা প্রশাসনিক বোর্ডকেই অবৈধ বলে ঘোষণা করা হতে পারে।
For all the latest Sports News Click Here