উনাদকাটদের কাছে লজ্জাজনক হারের পরেই নির্বাচকদের ছেঁটে ফেলল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা
সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে যশ ধুলরা লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হওয়ার পরেই কড়া পদক্ষেপ নিল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। তারা অবিলম্বে ছেঁটে ফেলল সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটিকে।
রাজকোটে সৌরাষ্ট্রের কাছে রঞ্জি ম্যাচে দিল্লি তিন দিনেই ১ ইনিংস ও ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানে। হতে পারে প্রথমসারির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় মাঠে নামেননি এই ম্যাচে। তবে তাই বলে ব্যাটিং-বোলিংয়ের দুই বিভাগেই চূড়ান্ত ভরাডুবি মেনে নিতে পারেনি ডিডিসিএ।
তবে শুধু এই ম্যাচেই নয়, বরং চলতি রঞ্জি মরশুমের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ দিল্লি। যার জেরেই ছেঁটে ফেলা হয় প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক গগন খোড়ার নেতৃত্বাধীন কমিটিকে। গগন ছাড়াও এক্ষেত্রে চাকরি খোয়াতে হয় মায়াঙ্ক সিধানা ও অনিল ভরদ্বাজকে।
দিল্লি অ্য়ান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহন জেটলি নির্বাচকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অ্যাপেক্স কাউন্সিল ও ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির কাছে চিঠি পাঠান। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি বরখাস্ত করে নির্বাচকদের।
আরও পড়ুন:- IND vs SL: অনিয়ন্ত্রিত বোলিং, টপ অর্ডারের ব্যর্থতা, পুণের দ্বিতীয় T20-তে ভারতের হারের ৫ কারণ
ডিডিসিএ-র ডিরেক্টর শ্যাম শর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে নির্বাচকদের বরখাস্ত করার খবর স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি আজ নির্বাচকদের বরখাস্ত করেছে।’
উল্লেখ্য, চলতি রঞ্জি ট্রফির চার ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে এলিট-বি গ্রুপে আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে রয়েছে দিল্লি। তাদের পিছনে রয়েছে কেবল হায়দরাবাদ। সুতরাং, অবনমনের আতঙ্ক চেপে বসেছে DDCA-র ঘাড়ে।
উল্লেখ্য, দিল্লির দল নির্বাচন নিয়ে ডামাডোল চলছে কিছুদিন ধরেই। নির্বাচকদের মধ্য সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ে। এমনকি দল নির্বাচনী বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় কমিটির অন্যতম সদস্য মায়াঙ্ক সিধানাকে। গগন খোড়া যাবতীয় তিক্ততার জন্য দায়ি করেন সিধানাকেই। তিনি স্পষ্ট জানান যে, বৈঠকে বারবার একটি নাম নিয়ে আলোচনা করছিলেন সিধানা এবং বৈঠকে উপস্থিত কেউই নাকি বুঝতে পারেননি কেন সিধানা মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:- IND vs SL: ২০০ টপকেও তৃপ্ত নন! শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কার্যত মেনে নিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও টার্গেটই নিরাপদ নয়
চলতি রঞ্জি ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত দিল্লির পারফর্ম্যান্স:-
১. মহারাষ্ট্রের কাছে প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে পরাজিত হয় দিল্লি। মহারাষ্ট্র ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। দিল্লির ভাঁড়ার থাকে শূন্য।
২. অসমের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করে দিল্লি। অসম প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। দিল্লি পায় ১ পয়েন্ট।
৩. তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দিল্লির তৃতীয় ম্যাচ ড্র হয়। তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট পকেটে পোরে। দিল্লিকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ১ পয়েন্টে।
৪. সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে এক ইনিংস ও ২১৪ রানে পরাজিত হয় দিল্লি। সৌরাষ্ট্র বোনাস-সহ ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। দিল্লি কোনও পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি এই ম্যাচ থেকে।
For all the latest Sports News Click Here