জায়েদ নন, শাহরুখের সৎ ভাই হিসাবে পরিচালক ফারহার প্রথম পছন্দ ছিলেন এই সুপারস্টার
কিসকা হ্য়ায় এ তুমকো ইনতেজার মেয় হু না… পরিচালক হিসাবে ফারহা খানের সফর শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। ছবির নাম ‘মেয় হু না’। লিড রোলে দেখা মিলেছিল ফারহার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাহরুখ খানের। ছবির যৌথ প্রযোজকের ভূমিকাতে ছিলেন গৌরী খান। ‘মেয় হু না’ জুড়ে উঠে এসেছে রাম শর্মার বীরত্বের কাহিনি, যে ভূমিকায় রয়েছেন শাহরুখ। আর রামের সৎ ভাই লক্ষ্ণণের ভূমিকায় দর্শক দেখেছে জায়েদ খানকে।
সঞ্জয় খান পুত্রের ফিল্মি কেরিয়ার সেভাবে কোনওদিনি টেক-অফ করেনি। তবে মেয় হু না জায়েদের কেরিয়ারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছবি। কিন্তু জানেন কি এই ছবির জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন জায়েদ নন, তাঁরই আত্মীয়! শুরুতে পরিচালক ফারহা চেয়েছিলন শাহরুখের ভাইয়ের চরিত্রে হৃতিককে কাস্ট করতে। এতদিনে এই রহস্য ফাঁস করেছেন পরিচালক।
ইন্ডিয়ান আইডলের-এর মঞ্চে ফারহা খান জানান, ‘জায়েদকে কাস্ট করা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং ছিল। ছবিটা এক বছর পিছিয়ে যায় এই চক্করে। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম হৃতিককে কাস্ট করব, কিন্তু তারপর কহো না প্যায়ার হ্য়ায় রিলিজ করল আর ও রাতারাতি মেগাস্টার হয়ে গেল। আমি জায়েদকে অন্য একটি ছবিতে দেখেছিলাম। তারপর আমার মাথায় এল মহব্বত হ্যায় মিরচি-র কথা। আমি এরপর ওর সঙ্গে দেখা করি এবং অবশেষে এই চরিত্রটা ওর ঝুলিতে যায়’।
উল্লেখ্য, সেই সময় সম্পর্কে হৃতিকের শ্যালক ছিলেন জায়েদ খান। সুজানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলেও আজও প্রাক্তন স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে হৃতিকের সম্পর্ক অটুট। একসঙ্গে হ্যাং আউট করতেও দেখা যায় হৃতিক-জায়েদকে।
শাহরুখ-জায়েদের নায়িকা হিসাবে এই ছবিতে দেখা মিলেছে সুস্মিতা সেন এবং অমৃতা রাও-এর। অন্যদিকে তাঁদের বাবা হিসাবে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। আর ভিলেন হিসাবে দেখা মিলেছে সুনীল শেট্টির। এই ছবির বেশিরভাগ অংশের শ্যুটিং হয়েছিল দার্জিলিং-এ। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। সেই বছরের অন্যতম সুপারহিট ছবি ছিল ‘মেয় হু না’। এই ছবিতে না হলেও ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে দাদা-ভাই হিসাবে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ-হৃতিককে। এরপর দু-দশক কেটে গেলেও একসঙ্গে কাজ করেননি শাহরুখ-হৃতিক।
For all the latest entertainment News Click Here