প্রয়াত মায়ের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন জ্যাকি, সুনীল; ছলছল চোখে সামলালেন অমিতাভ
কৌন বনেগা ক্রোড়পতির ১৩ নম্বর সিজন শুরু হয়েছে গত মাসেই।চলতি সপ্তাহেই সোনি টিভির এই গেম শো-এর ‘শানদার শুক্রবার’ এপিসোডে হাজির হচ্ছেন জ্যাকি শ্রফ এবং সুনীল শেট্টি। কেবিসি-র ১৩ নম্বর সিজনের এই বিশেষ এপিসোডটি শুক্রবার, অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর সম্প্রচার হবে।শো চলাকালীন হাসি ঠাট্টা যেমন চলল, তেমনই উঠে এল মনে রাখার মতো এক মুহূর্তও। ইতিমধ্যেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেবিসির এই এপিসোডের যে নয়া প্রমো সামনে আনা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে শো চলাকালীন গল্প আড্ডার ফাঁকে জ্যাকি,সুনীলের পাশাপাশি আবেগপ্রবণ হয়ে উঠে পড়লেন অমিতাভ বচ্চনও! জ্যাকি এবং সুনীলের চোখ থেকে নিঃশব্দে অশ্রু বেরিয়ে এলেও বহু কষ্টে ‘বিগ বি’ তা চেপে রাখেন।
কথার ফাঁকে ‘জগ্গু দাদা’-র মায়ের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে সুনীলের। ‘হের ফেরি’-র নায়ক জানান জ্যাকির মা রীতা শ্রফ মারা যাওয়ার পর তাঁর বলা একটি কথা আজও মনের কৌটোয় তুলে রেখে দিয়েছেন তিনি। ‘জ্যাকি দাদা বলেছিল, যখন ওঁরা বস্তিতে মাত্র একটা কামরায় থাকতেন তখন রাতে মা যদি কেশে উঠতেন টের পেতেন উনি। এরপর কেরিয়ারে সাফল্য পাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে বান্দ্রায় বড় বাড়িতে উঠে গেছিলেন তিনি। সেখানে সবার জন্য আলাদা আলাদা ঘর ছিল। তো একদিন সকালে উঠে দাদা দেখলেন ওঁর মা নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছিলেন উনি। এরপরেই দাদা আমাকে সেকথা প্রসঙ্গে বলেছিল আজ যদি এক ঘরে থাকতাম….’ বলতে বলতে কান্নায় গলা ধরে আসে সুনীলের। ওদিকে মুখ আড়াল করে হাউহাউ করে কেঁদে উঠেছেন বলিউডের ‘বীরু’। সব দেখে চোখ ছলছল করে ওঠে অমিতাভেরও। বহু কষ্টে নিজের অশ্রু সংবরণ করেন তিনি।
এরপর চোখের জল মুছে জ্যাকির পিঠে হাত রাখতেই সুনীলের গাল টিপে আদর করে তাঁর কপালে স্নেহচুম্বন এঁকে দেন ‘জগ্গু দাদা’। দুই বন্ধুর পরস্পরের প্রতি এই নিখাদ ভালোবাসা দেখে ততক্ষণে হাততালি দিয়ে উঠেছেন ‘শাহেনশাহ’। সঙ্গে খোলা গলায় জানালেন আজকালকার দিনে এমন বন্ধুত্ব সত্যিই বিরল।
For all the latest entertainment News Click Here