বিশ্বকাপ শেষ হলেই অনিন্দ্য সুন্দর ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’ ভ্যানিশ হয়ে যাবে, কেন জানেন?
কাতার বিশ্বকাপের জন্য সাতটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে ৷ ঝাঁ চকচকে, সুন্দর সেই সব স্টেডিয়াম। বহু অর্থ ব্যয়েই নির্মাণ করা হয়েছে স্টেডিয়ামগুলো। কিন্তু, টুর্নামেন্ট শেষে একটি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হবে ৷ আর সেটি হল দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪।
বিশ্বকাপ শেষ হলেই কাতার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে স্টেডিয়াম ৯৭৪। কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে দর্শকাসন রয়েছে ৪০ হাজার। কিন্তু আচমকাই বিশ্বকাপের পর কেন অদৃশ্য হয়ে যাবে এই স্টেডিয়াম? আর কেনই বা এত বড় স্টেডিয়ামের পরিণতি খারাপ হতে চলেছে?
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর মঞ্চে রামোস-ঝড়, CR7-এর যুগ কি শেষের পথে? উত্তরসূরী পেয়ে গেল পর্তুগাল?
আসলে কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম ৯৭৪ অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মোট ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার দিয়ে তৈরির কারণেই এই স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম।
মডিউলার স্টিল ও শিপিং কন্টেনার দিয়ে তৈরির কারণেই বিশ্বকাপের শেষে সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, সেটা নিয়ে আলাদা ভাবনাও নিয়েছে কাতার প্রশাসনের। এমন কী প্রয়োজনে ওই কন্টেনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। এমন কী দরকার পড়লে অন্য দেশেও স্থানান্তর করা যাবে।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে স্পেনকে রুখে নায়ক বুনো- অঘটন ঘটিয়ে শেষ আটে মরক্কো
তবে বিশেষজ্ঞরা এই স্টেডিয়ামের নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করলেও, এর সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন তাঁর ৷ তাঁদের মতে, বিশ্বকাপের পরে ঠিক কী করা হবে, স্টেডিয়ামটির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা ৷
১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ যুদ্ধের মেগা ফাইনাল। সেই ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার পরেই এই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে! তার পর একে একে খুলে ফেলা হবে কন্টেনারগুলো। সেই কন্টেনারগুলো জাহাজে চড়ে চলে যাবে উন্নয়নশীল কোনও দেশে। সেই সব দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হবে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর এই কন্টেনারগুলো। টুইট করে সেটা জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। তারা এই স্টেডিয়ামের একটি ভিডিয়োও দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় কাতার। এরপর ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ৪৪০৮৯ আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে লেগেছিল প্রায় তিন বছর। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর এই স্টেডিয়াম জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাপ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ফিফা আরব কাপের ছ’টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সৌদি আরব, কাতার, জর্ডন, সুদানের মতো দেশ এখানে খেলে গিয়েছিল।
For all the latest Sports News Click Here