‘আমার ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন’! জিয়াগঞ্জের জন্য শর্ত রেখে সাহায্যে চাইলেন অরিজিৎ
দিন কয়েক ধরে চর্চায় অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টের টিকিটমূল্য। স্টেজে পারফর্ম করতে মোটা টাকা নেন গায়ক, সেই টাকা দিয়ে কী করেন অরিজিৎ সিং? এমন প্রশ্নও ঘোরাফেরা করে নেটিজেনদের মনে। ঢাক পিটিয়ে নিজের প্রচার না করলেও অরিজিৎ সিং-এর জনসেবার কথা কারুর অজানা নয়। জিয়াগঞ্জকে নতুন করে সাজাতে কমতি রাখছেন না সেখানকার ঘরের ছেলে। জনসেবার আদর্শে বিশ্বাসী অরিজিৎ বড় হয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ। সম্প্রতি মুম্বইয়ের কনসার্টে অরিজিৎ জানান, নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে অন্যকে সাহায্য করাটাই মানবতা। মানুষের পাশে দাঁড়াতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলেছেন অরিজিৎ।
জিয়াগঞ্জের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে পিছিয়ে না পরে তার জন্য স্পোকেন ইংলিশের ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন অরিজিৎ, মেয়েদের নার্সিং ট্রেনিং-এর স্কুল খুলেছেন, মেয়েদের আত্মনির্ভর করে তোলবার ক্ষেত্রে কাজ করছে সেই সংস্থা। শুধু তাই নয় মাত্র ৩০ টাকার হোটেল খুলেছেন অরিজিৎ। সেখানে ভরপেট খাবার পাওয়া যায় এই টাকায়। ঘরের ছেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জিয়াগঞ্জ। অরিজিৎ জানালেন বদল আনতে হলে সেটা তোমার ঘর থেকেই শুরু করতে হবে।
এরপর অরিজিৎ জানান, বেসরকারি স্কুলে যেসকল সুযোগ-সুবিধা থাকে তেমনই একটি উন্নতমানের স্কুল গড়তে উদ্যোগী তিনি। এরপর জানাতে পারেন সেই সেলফ সাসটেন্ড স্কুল তৈরির খরচ ১০০ কোটি টাকা। অরিজিৎ কনসার্ট মঞ্চে গিটার হাতেই বলেন, ‘আমার এই কাজের জন্য দরকার ১০০ কোটি টাকা। কাজ শুরু করবার পর আমি সেটা জানতে পারি। আমি সেই টাকা জোগাড় করা শুরু করেছি। আমি আপনাদের পাশে চাই। আমি আপনাদের থেকে অর্থ সাহায্য চাইছি না, এই কাজে আপনারা আমার পার্টনার হোন। সৎভাবে পাশে থাকুন। মিউজিক যাঁরা শুনতে এসেছেন, তাঁদের সকলেরই একটা হৃদয় রয়েছে।’
অরিজিতে এই বক্তব্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল। গায়কের কথা মন ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। অরিজিতের মানসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। আসলে শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতে কেমনভাবে হয় সেটা জানেন অরিজিৎ। ভাবতে অবাক লাগলেও কাজের প্রয়োজন ছাড়া মুম্বইয়ে যান না অরিজিৎ, অথচ আজ বলিউডের এক নম্বর গায়ক তিনি। জিয়াগঞ্জের স্কুলেই পড়াশোনা করছে তাঁর সন্তানেরা। সপরিবারে মুর্শিদাবাদেই বসবাস করেন অরিজিৎ।
For all the latest entertainment News Click Here