কোহলির ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেওয়া নির্বাচকদের তাড়াল BCCI! মজা লুটছেন বিরাট ভক্তরা
তাহলে কি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল? ভারতীয় সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের চাকরি যাওয়ার পর এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। বিশেষত বিরাট কোহলির ভক্তরা তো একেবারে সপ্তম স্বর্গে উঠে গিয়েছেন। বিরাটের থেকে একদিনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া নির্বাচকদেরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ছেঁটে ফেলায় মজা লুটছেন তাঁরা।
শুক্রবার চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটিকে ছেঁটে ফেলেছে বিসিসিআই। যে নির্বাচক কমিটির আমলে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে টুইটার। বিশেষত বিরাটের ভক্তরা তো ‘সেলিব্রেশন’ শুরু করে দেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, কর্মের ফল ভোগ করতে হল নির্বাচকদের। যাঁরা একটা সময় বিরাটের সঙ্গে অবিচার করেছিলেন, তাঁদের বরখাস্ত হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: BCCI sacks selection committee: নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিকে ছেঁটে ফেলল BCCI
তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘সৌরভকে (বিরাটের থেকে যখন একদিনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তখন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চেতন শর্মাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দল থেকে রোহিতকে (শর্মা) ছেঁটে ফেলা হবে। ক্ষমতার শিখর থেকে মুম্বই লবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুর রক্ত থাকা রজার বিনি হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট। কোহলি ফর্মে ফিরেছেন। পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: BCCI Scraps Selection Committee: শুধু বিশ্বকাপ হার নয়, চেতন শর্মাদের ছেঁটে ফেলার নেপথ্যে পাঁচটি বড় কারণ
একইসুরে এক নেটিজেন বলেন, ‘বিরাট কোহলি ফর্মে ফিরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবরের চ্যানেল – সবকিছু দেখে ভালো লাগছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, চেতন শর্মাদের মতো লোকেদের বিসিসিআই বরখাস্ত করে দিয়েছে (সৌরভকেও অবশ্য সরকারিভাবে বরখাস্ত করা হয়নি, প্রথম মেয়াদের শেষে বিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অংশ নেননি)। ভারতীয় ক্রিকেট সুস্থ হয়ে উঠছে।’ কেউ কেউ আবার বিরাটের নাচের বা সেলিব্রেশনের পুরনো ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, নির্বাচকদের বরখাস্ত করার পর এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন বিরাট।
উল্লেখ্য, গত বছর বিরাটের হাত থেকে একদিনের দলের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও একদিনের ক্রিকেটে সেরকম কোনও অভিপ্রায় ছিল না বিরাটের। সেইসময় বিরাট ও ভারতীয় বোর্ডের প্রশাসকদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের আগে বিরাট দাবি করেছিলেন, তাঁকে দল নির্বাচনের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে ফোন করে বলা হয়েছিল যে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে সাদা বলের ক্রিকেটে একজনই অধিনায়কের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here