১৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ঐন্দ্রিলা, আকাশছোঁয়া বিল নিয়ে কী বলছে হাসপাতাল?
ঐন্দ্রিলা শর্মা হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সতেরো দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হয় তাঁর। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় ঐন্দ্রিলাকে। তাঁর এবং সব্যসাচীর অগণিত ভক্তরা এখনও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন তাঁর মঙ্গল কামনায়। সকলের মুখে একটাই কথা, এতদিন যেভাবে রোগকে হারিয়ে, লড়াই করে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা এবারেও যেন তিনি একইভাবে ফিরে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’ পোস্ট চোখে পড়ছে। একদিকে সকলের সমবেত প্রার্থনা, আরেকদিকে ঐন্দ্রিলার লড়াই জারি রয়েছে। হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। কিন্তু সব কিছুর মাঝেই অনেকেই যেটা নিয়ে ভাবছেন সেটা হল হসপিটালের খরচ।
অভিনেতা অনিন্দ্য ব্যানার্জি এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনিন্দ্যর এই পোস্টে ঐন্দ্রিলার ভক্তরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁরা সাহায্য করবেন, কেবল অভিনেত্রী সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করে তোলার।
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তাঁর একটি অপারেশন করা হয়। আইটিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় অভিনেত্রীকে। চিকিৎসকরা নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করে তোলার জন্য। কিন্তু তার মাঝেই জানা যাচ্ছে, এই চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার টাকা মতো খরচ হয়। এছাড়া ওষুধ, চিকিৎসকের ফিজ, ইত্যাদি তো আছেই। ফলে দৈনিক খরচ কত হচ্ছে সেটার একটা অনুমান বোধহয় সকলেই করতে পারছেন।
ঐন্দ্রিলার প্রসঙ্গে এই হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, ঐন্দ্রিলা যেহেতু ওঁদের হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেন, এখানকারই পেশেন্ট তিনি, সেহেতু ম্যানেজমেন্ট গোটা বিষয়টা দেখছে। তবে এই বিষয়টা হাসপাতাল যে কেবল ঐন্দ্রিলার জন্য ভাবছে বা করছে, এমনটা নয়। অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করা হয় বলে তিনি জানান। কিন্তু এই ১৭দিনে ঐন্দ্রিলার কত বিল হয়েছে সেই প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানাননি। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লাখ টাকার বিল হয়ে গিয়েছে।
অনিন্দ্য ব্যানার্জি কিছুদিন আগে পোস্ট করে লেখেন, যে অভিনেত্রীর জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি, অর্থ সাহায্য জরুরি কিনা সেটাও দেখা উচিত সকলের। তখন সেই পোস্টে অনেকেই বলেন তাঁরা অভিনেত্রীকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। তাঁরা কেবল তাঁদের পছন্দের অভিনেত্রী সুস্থ হয়ে উঠুক সেটাই চায়।
যদিও এখনও পর্যন্ত অভিনেত্রীর পরিবার বা বন্ধুদের তরফে আর্থিক সাহায্য চেয়ে কোনও পোস্ট করা হয়নি। ঐন্দ্রিলার বাবা নিজেই একজন চিকিৎসক। এছাড়া তাঁর পাশে রয়েছেন তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। চিকিৎসকরা বর্তমানে গোটা বিষয়টার উপর নজর রাখছেন। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
For all the latest entertainment News Click Here