CAB নির্বাচন নিয়ে হঠাৎ-ই জটিলতা, বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে আদৌ আসা হবে সৌরভের?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সময়টা মোটেও ভালো চলছে না। সম্প্রতি বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রজার বিনি। আইসিসি-তেও তাঁর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। সিএবি নির্বাচনের দাঁড়াতে চেয়েছিলেন সৌরভ। মনোনয়ন জমা দিয়েই নির্বাচনে লড়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে সিএবি নির্বাচন হবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আরও একটি প্রশ্ন এই প্রেক্ষিতে জোরদার হয়ে উঠেছে, সেটা হল, ভোট না-হলে সৌরভ কি আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হবেন?
আরও পড়ুন: পদ গেলেও অক্ষুণ্ণ গরিমা, রজার বিনির প্রতি শুভেচ্ছাবার্তায় মন জয় সৌরভের
সর্বভারতীয় সংস্থার প্রধান থেকে রাজ্য সংস্থার প্রধান হওয়ার মধ্যে কোনও আইনি বাধা নেই। তাই সৌরভ সিএবি প্রেসিডেন্ট হতেই পারেন। এই নিয়ে জটিলতা নেই কোনও। তবে সৌরভের পক্ষে এটা কতটা তাঁর কাছে এই বিষয়টি সম্মানের হবে, সেটা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। তবে সৌরভ কিন্তু বারবার ধাক্কা খেয়ে প্রত্যাবর্তন করার ছেলে। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব যাওয়ার পর এবং টিম থেকে ছিটকে গিয়ে, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ফের ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন সৌরভ। তাই অনেকেই মনে করছেন,সৌরভ হয়তো ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়েই নতুন লড়াই শুরু করবেন।
সৌরভ যে আর বিসিসিআই-এর সভাপতি থাকছেন না, তা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে বরাবর সৌরভের বিরোধী গোষ্ঠীর প্রশাসক বিশ্বরূপ দে প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, সৌরভ কখনও ভোটে লড়ে জেতেননি। সিএবি-র সভাপতি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আশীর্বাদে’। আর বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ পেয়েছিলেন অমিত শাহের ‘বদান্যতা’য়। যা একেবারেই ভাল ভাবে নেননি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। তাই তিনি নির্বাচন না হলে ফের প্রেসিডেন্ট হবেন কিনা, সেটা একটা বড় প্রশ্ন? কারণ সৌরভ বলেছিলেন, তিনি মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান। সে কথা প্রকাশ্যে তিনি জানিয়েও দেন। তিনি চেয়েছিলেন নির্বাচন লড়েই জিততে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: BCCI-এর নতুন কমিটিতে এলেন কারা? থেকে গেলেনই বা কারা? জেনে নিন তাঁদের পরিচয়
সিএবি ভোট নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিরোধীপক্ষ নিজেদের মতো করে একটি প্যানেল তৈরি করেছিল। শাসকগোষ্ঠীও প্যানেলের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সৌরভের নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করায় সব অঙ্কটাই এলোমেলো হয়ে যায়। দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় সৌরভকে প্রার্থী করা হয়।
এমন কী সৌরভের মাথায় এ বার ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত। বিশেষ করে সৌরভকে বিসিসিআই থেকে বাদ দেওয়ায় এবং জয় শাহ বোর্ডে তাঁর আগের পদেই থেকে যাওয়ায় মমতা বিজেপি তথা অমিত শাহকে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান। তিনি সরাসরি দাঁড়িয়ে পড়েন সৌরভের পাশে।
তবে সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে নির্বাচন না-হওয়ারই সম্ভবানা বেশি। কারণ, ময়দানে সৌরভ এসে যাওয়ায় বিরোধীরা সে ভাবে আর প্যানেল তৈরি করে প্রার্থী দিতে আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের একটা ‘মিলিজুলি’ প্রশাসন থাকবে বলেই এখনও পর্যন্ত মনে করছেন অনেকে। কিন্তু সেই ‘বিনা নির্বাচনে’ গঠিত মিলিজুলি প্রশাসনে সৌরভ থাকবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, নির্বাচন না হলে আবার তাঁকে বিশ্বরূপ-সহ বিরোধীপক্ষের সমালোচনার মুখে পড়তেই হবে।
For all the latest Sports News Click Here