‘ওদের শাস্তি দিও মা’, বৈশালী মামলায় নয়া মোড়! প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই নিজেকে শেষ করে দিলেন বৈশালী টক্কর? অভিনেত্রীর সুইসাইড নোট থেকে মিলছে তেমনই ইঙ্গিত। প্রাক্তন প্রেমিক ও তাঁর স্ত্রীর হাতে হেনস্থার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেত্রী- এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
মুম্বইয়ের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত নাম বৈশালী ঠক্কর। ‘ইয়ে রিস্তা ক্যায়া ক্যায়লাতা হ্যায়’ খ্যাত অভিনেত্রীর আচমকা চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এর মাঝেই জানা যাচ্ছে প্রেমঘটিত সমস্যার জেরেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বৈশালী। বৈশালীর ‘আত্মহত্যার মামলায়’ আপতত পুলিশের সন্দেহের তির বৈশালীর প্রতিবেশী তথা প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নভলানি ও তাঁর স্ত্রী দিশার দিকে। আপতত দু’জনেই ‘পলাতক’। দুজনের বিরুদ্ধে বৈশালীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
নিজের সুইসাইড নোটে বাবা-মা’র উদ্দেশে বৈশালী লিখে গিয়েছেন, রাহুল এবং তাঁর স্ত্রী যেন শাস্তি পায়, তবে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। বৈশালীর ইন্দোরের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়ার পাঁচ পাতার সুইসাইড নোট পড়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৈশালীর বিয়ে ভাঙতে ততপর ছিল প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নভলানি। অভিনেত্রীর মা-ও জানিয়েছেন, রাহুলের স্ত্রী দিশা, বৈশালীকে হেনস্থা করতেন সে তাঁর সংসার ভাঙছে বলে। যদিও বৈশালী কোনওভাবেই রাহুলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চায়নি। কিন্তু রাহুল তাঁকে শাসাতো, ‘আমি তোর বিয়ে হতেই দেব না’।
ঠক্করের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তির প্রায় পুরোপুরি ঘুরে গেল প্রতিবেশী রাহুল নাভলানির দিকে। হবু স্বামী অভিনন্দন সিংহ নন, সব কিছুর মূলেই সেই রাহুল! সুইসাইড নোট পড়ে এমনই মনে হচ্ছে তদন্তকারীদের। অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রাহুল এবং তাঁর স্ত্রী দিশার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল সোমবার।
সুইসাইড নোটে বৈশালী নাকি লিখে গিয়েছেন, ‘রাহুল নভলানি আমার সঙ্গে কী কী খারাপ কাজ করেছে আমি মুখে আনতে পারব না। রাহুল আমায় শারীরিক এবং মানসিক ভাবে শেষ করেছে। শেষে ও বলেছিল, আমায় কিছুতেই বিয়ে করতে দেবে না। আর ঠিক তা-ই করল।’ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাগদানের ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন বৈশালী। কেনিয়া-নিবাসী দাঁতের ডাক্তার অভিনন্দন সিং হুন্ডলের সঙ্গে হয়েছিল এনগেজমেনট। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সে বছরেরই জুন মাসে। করোনা অতিমারীর জেরেই নাকি বিয়ে পিছিয়েছে সেইসময় জানিয়েছিলেন বৈশালী। কিন্তু পরে জানা যায় সেই বিয়ে ভেঙে গিয়েছে।
পরবর্তীতে মিতেশ নামের আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বৈশালী। মিতেশ-বৈশালীর বিয়ের তারিখ নির্দিষ্ট ছিল ডিসেম্বরে। বিয়ের শপিং-এর প্ল্যানিং বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ারও করেছিলেন বৈশালী। কিন্তু তার মাঝেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? ভেবেই পাচ্ছে না পরিবার!
বৈশালী চিঠিতে আরও লেখেন, ‘তোমাদের মেয়ে যদি না থাকে, তাহলে আর কোনও ঝামেলা থাকবে না। আই কুইট মা! তোমাদের খুব ভালোবাসি আমি। তবে ভালো মেয়ে হতে পারলাম না। ক্ষমা করে দিও।’
For all the latest entertainment News Click Here