জহুরি চিনেছিলেন হিরে-অভিষেকের আগেই শাস্ত্রী জানতেন, হার্দিক বিদেশে টেস্ট জেতাবেন
ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে এই মুহূর্তে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ২০২২ আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের হাত ধরে ভারতীয় দলে দাপটের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই বছর আইপিএলে হার্দিক শুধু গুজরাট টাইটান্সের হয়ে কেবল বল এবং ব্যাট হাতেই পারফর্ম করেননি, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম প্রচেষ্টাতেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হতাশাজনক অভিযানের পর হার্দিক পান্ডিয়া আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি। কারণ তিনি পিঠের চোট নিয়ে জেরবার ছিলেন।
আরও পড়ুন: লঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত ৭৬ রান জেমিমার, মিতালিকে টপকে নয়া নজির
হার্দিক পান্ডিয়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার পরে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন, যিনি ভারতের জার্সিতে কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেছেন এবং শীঘ্রই সীমিত ওভারের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন। যাইহোক ভারতের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর বিশ্বাস করেন যে, ২০১৬ সালে তারকা অলরাউন্ডারের ভারতে অভিষেক হওয়ার আগেই রবি শাস্ত্রী তাঁর প্রতিভা এবং সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, যখন অনিল কুম্বলে ভারতের প্রধান কোচ ছিলেন। প্রসঙ্গত, কুম্বলের জায়গায় এক বছর পর টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন রবি শাস্ত্রী।
আরও পড়ুন: এই বছর MI-এর হয়ে বুমরাহ খেলেছেন ১৪ ম্যাচ, জাতীয় দলের হয়ে মাত্র ৫টি T20
ক্রিকেট ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় আর শ্রীধর বলেন, ‘আমরা ওকে (হার্দিককে) ভারতীয় দলে একজন আউট অ্যান্ড আউট ম্যাচ উইনার হিসেবে দেখেছি। রবি (শাস্ত্রী) ভাই ভারতের হয়ে অভিষেকের আগেই ওর মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তিনি বলেওছিলেন, এই সেই খেলোয়াড় যে আমাদের বিদেশে টেস্ট ম্যাচ জিতিয়ে দেবে। তিনি জানতেন যে, হার্দিক বিদেশে ভারতের জন্য কার্যকর হবে। কারণ ও এমন একজন অলরাউন্ডার, যে ১৪০+ রান করতে পারে। সুতরাং, আমরা সবাই জানতাম, হার্দিক দলে কী করতে পারে। হার্দিক সরাসরি মাহি, রোহিত, বিরাটের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করে এবং দলের জন্য উপযোগী প্রমাণিত হতে থাকে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ওর শক্তি হল যে, ও যে ক্রিকেটটা খেলছে, সেটা ভালোবেসে। ও সত্যিই ক্রিকেট খেলাটা উপভোগ করে, সেটা ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং, যাই হোক না কেন। আমরা ওর মধ্যে সে অর্থে কোনও দুর্বলতা দেখিনি।’ হার্দিক পান্ডিয়া ২০১৭ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে মাত্র ১১টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। এর পর তিনি চোট পেতে থাকেন এবং শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দেন।
For all the latest Sports News Click Here