জিয়া খানের মৃত্যুর তদন্ত করুক FBI, নায়িকার মায়ের দাবিতে ভর্ৎসনা বম্বে হাইকোর্টের
২০১৩ সালের ৩ জুন নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী জিয়া খআনের দেহ। বলিউডে মাত্র ৩টে ছবিতে কাজ করেছিলেন। তার মাঝেই এই দুর্ঘটনা। জিয়ার মা-র তরফে প্রথম থেকেই দাবি করে আসা হচ্ছিল তাঁর মেয়ের মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে প্রেমিক সুরজ পাঞ্চলির। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পর মুম্বইয়ের এক আদালতের পক্ষ থেকে সুরজের উপর অভিযোগ তোলা হয় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার।
সম্প্রতি জিয়ার মা রাবিয়া খান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যাতে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয় এফডিআই অর্থাৎ Federal Bureau of Investigation-এর হাতে। অজয় গড়করি আর মিলিন্জ জাদভের বেঞ্চ এই নিয়ে ভৎসনা করেছে রাবিয়াকে, দাবি এতে কেস আরও বিলম্বিত হচ্ছে।
‘দরখাস্তকারীর (রাবিয়া খান) বারবার আদালতে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা এবং আদালত থেকে নতুন অনুসন্ধানের দরখাস্ত করা যে এক্ষেত্রে ভিক্টিম (জিয়া খান)-এর মৃত্যু হত্যাকাণ্ড ছিল কোনও আত্মহত্যা নয়, বিচারকে পিছিয়ে দেওয়ার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।’, বলা হয় বিচারকদের তরফে। আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সিবিআই একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, ন্যায্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত করেছে।’ বিচারকরা আদালতে আরও বলেছেন যে মেডিকেল টেস্ট এবং পরিস্থিতিগত প্রমাণের প্রতিটি দিক, অভিযুক্তের আচরণ এবং/অথবা ঘটনার কারণ সমস্ত দিকটা দেখেছেন সেটা দেখা হচ্ছে। বোঝার চেষ্টা চালানো হয়েছে এটা কি কোনও হত্যা, সব দিক বিবেচনা করেই এটাকে আত্মহত্যা ঘোষণা করা হয়েছে। আর সব দিক দেকেই সিবিআই তার চার্জশিট দাখিল করেছিল।
For all the latest entertainment News Click Here