ফিটনেস যাচাই করে দেখুন! দলে ফিরতে কাকুতি-মিনতি ব্যান হওয়া পাকিস্তানি ক্রিকেটারের
শুভব্রত মুখার্জি: প্রথমবার যখন ২২ গজে তার আবির্ভাব ঘটেছিল তখনই তার ব্যাটিং দেখে বিশেষজ্ঞরা তার প্রতিভার তারিফ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকেই শতরান করে চমকে দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে। তবে তারপর থেকেই পাকিস্তানের কিপার ব্যাটার উমর আকমলের কেরিয়ারে যেন ঘটেছিল ছন্দপতন। ব্যাটে রানের ধারাবাহিকতার অভাব ছিল স্পষ্ট। ফলে দল থেকেও একটা সময় বাদ পড়তে হয় তাকে। ৩২ বছর বয়সি কিপার ব্যাটার এখনও কঠোর পরিশ্রম করছেন। তার মূল লক্ষ্য জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটানো।
২০২০ সালে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞাও লাগু করা হয়েছিল তার উপর। সেই তিনিই সম্প্রতি পাক টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে তার জাতীয় দলে কামব্যাকের স্বপ্নের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘আমি কামব্যাকের বিষয়ে আশাবাদী। যদি আমি লোকজন এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পাই তাহলে আমি কামব্যাক ঘটানোর বিষয়ে আশাবাদী। আমি তাহলে জাতীয় দলে ফিরবই। ফিটনেসের বিষয়ে তখন প্রশ্ন ওঠে যখন আপনার উইকেটের মাঝে দৌড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। ফিল্ডিং করার সময়তে সমস্ত ওভার সে ফিল্ডিং করতে পারে না।’
তিনি আরও যোগ করেন ‘ওদের আমার মাঠের ফিটনেসটা দেখা উচিত। আপনি আমার কোচের সঙ্গে কথা বললেই জানতে পারবেন আমার মাঠে ফিটনেসের বিষয়টি। সমস্ত ওভার ধরেই আমি কিপিং করেছি। এক রান বা দুরান নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট সাবলীল। আমি যদি ফিটনেসের মানেই না পৌঁছই তাহলে আমাকে পাকিস্তান ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ডেকে পাঠান। আমাকে ট্রেনারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। যদি আমাকে অ্যাকাডেমিতে ডাকতেই না চায় তাহলে আমাকে একজন ট্রেনার দেওয়া হোক যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। আমি একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষককে নিয়োগ করব তাহলে এবং সেইমত কাজ করব। একজন ক্রিকেটারের ফিটনেসে উন্নতি ঘটাতে তিন সপ্তাহ যথেষ্ট সময়। আমার মাঠের ফিটনেস যথেষ্টই ভাল রয়েছে। তবে আমাকে বলা হয়েছে আমার শরীরের ফিটনেসকে ওরা যে জায়গায় দেখতে চাইছে সেই জায়গায় নেই একেবারেই।’
উল্লেখ্য জাতীয় দলের হয়ে তিনি ২০১৯ সালে শেষবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে খেলেছেন। লাহোরের সেই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক করেছিলেন তিনি। এই মুহূর্ত পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৬টি টেস্ট, ১২১টি ওয়ানডে এবং ৮৪টি টি-২০তে খেলেছেন।
For all the latest Sports News Click Here