‘হিরো’ নামই পালটে ফেলার নির্দেশ! ‘রবীন্দ্র সঙ্গীত আর গাইব না’,মুচলেকা হিরো আলমের
বাংলাদেশের বগুড়ার ছেলে আশরাফুল হোসেনকে হিরো আলম নামেই চেনে দুই বাংলা। ওপার-এপারে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বেসুরো গলায় একের পর এক গান গেয়ে নেটমাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে হিরো আলমের। সম্প্রতি একটি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন হিরো আলম। দেশের সংস্কৃতির অবমাননা করছেন হিরো আলম, তাঁকে দেখে বিপথে যাচ্ছে আগামী প্রজন্ম- এমন অভিযোগ তোলেন দেশেক সংস্কৃতি মনস্ক মানুষজন।
বাংলাদেশের অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল সম্প্রতি, সেখানে হিরো আলমকে গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অজস্র অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ তাঁকে ডাকা হয়।
এরপরই হিরো আলম সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ঘোষণা করেন, আর কখনও বেসুরো বা বিকৃত গান গাইবেন না।
যদিও এমন কথা জানানোর কয়েকঘন্টার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন হিরো আলম। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘ব্যক্তিগত স্বাধীনতায়’ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকী পুলিশের তরফে তাঁর নাম পালটে ফেলবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। নামের সঙ্গে ‘হিরো’ ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি! হিরো আলম স্পষ্ট করে বলেন, তিনি আগামিতে গান গাইবেন না বা অভিনয় করবেন না এমনটা নয়। তবে রবীন্দ্র সংগীত বা নজরুলগীতি বা পল্লীগীতি জাতীয় গান ভবিষ্যতে গাইবেন না তিনি।
পুলিশ তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এমনটা বলেন এই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। তাঁকে শুনতে হয়েছে, ‘নিজেকে আয়নায় দেখেছিস? হিরো কাকে বলে জানিস? হিরো নাম তুই আর ব্যবহার করবি না’। এই কথায় ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পেয়েছেন বলেন তিনি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশানার হারুল-উল-রশিদ জানিয়েছেন, ‘হিরো আলমকে গান গাইতে নিষেধ করা হয়নি, কেবল রবীন্দ্রসংগীত বা নজরুলগীতির মতো গান বিকৃত করতে বারণ করা হয়েছে। সেই কথা উনি মেনে নিয়েছেন’।
For all the latest entertainment News Click Here