Ranji Trophy-র সেমিফাইনালে হারের দায়টা ব্যাটারদেরই, বলছেন বাংলার কোচ, অধিনায়কও
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার ব্যাটাররা যে ছন্দে ছিলেন, তার এক বর্ণও সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি মনোজ তিওয়ারিরা। যার নিটফল, আরও একবার রঞ্জিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলার। সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৭৪ রানে লজ্জাজনক ভাবে হেরে ছিটকে গিয়েছে বাংলা।
গত বার করোনার জন্য রঞ্জি হয়নি। তার আগের বার সৌরাষ্ট্রের কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা। আর এই মরশুমে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই এই হারতে হয়েছে বাংলাকে। সে কথা মেনে নিয়েছেন বাংলার কোচ অরুণ লাল।
অরুণ লাল বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশের ঘরে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেটাই সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল। মনোজ (তিওয়ারি) এবং শাহবাজ (আহমেদ) সেঞ্চুরি করেছিল ঠিকই, কিন্তু বাকিরা রান না পাওয়ায়, সেই সেঞ্চুরি দু’টিও যথেষ্ট ছিল না।’ বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনও বলেছেন, ‘জিততে হলে আমাদের বড় পার্টনারশিপ গড়তে হত। দায়িত্ব নিতে হত।’ মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে ঈশ্বরনের ৭৯ বাদ দিলে, বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান শাহবাজ আহমেদের। অপরাজিত ২২। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকেই পাওয়া যায়নি। আকাশ দীপের ২০ এবং সুদীপ কুমার ঘরামির ১৯- বাকিদের রান দুইয়ের ঘর টপকায়নি।
আরও পড়ুন: একা কুম্ভ আগলালেন ঈশ্বরন, ব্যাটিং বিপর্যয়েই স্বপ্নভঙ্গ বাংলার
আরও পড়ুন: অটুট রইল সরফরাজদের ব্যাটিং দূর্গ, রিঙ্কুদের ছিটকে দিয়ে রঞ্জির ফাইনালে মুম্বই
মধ্যপ্রদেশের স্পিনাররাও যে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, সেটা মেনে নিয়েছেন অরুণ লাল। তিনি বলেওছেন, ‘ওদের স্পিনাররা অনেক বেশি ধারাবাহিক ছিল। প্রথম ইনিংসে ওরা ভালো বল করেছে। যা আমরা করতে পারিনি।’
রবিবারই দু’ভাগে কলকাতা ফিরে আসছে বাংলা দল। আপাতত বিশ্রাম। কিন্তু প্রশ্ন হল পরের মরশুমেও কী কোচ থাকবেন অরুণ লাল? নিজে অবশ্য বলছেন, ‘কোচ থাকব কি না, সেটা এখন বলব কী করে। সিএবি-র সঙ্গে কথা বলতে হবে। যদি ওরা চায়, ভেবে দেখব। আমার পক্ষে আগে থেকে কিছুই বলা সম্ভব নয়।’ আপাতত তিনি বিশ্রাম নিতে চান।
For all the latest Sports News Click Here