ফ্লপ ইশান, ঠিকঠাক শ্রেয়স, তুখড় লিয়াম, কেমন করছেন IPL-র সবচেয়ে দামি তারকারা?
আইপিএলের মহারণ শুরু হয়ে প্রায় এক মাস হতে চলল। ইতিমধ্যেই সব দলই অন্তত ছয়টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আইপিএলের প্রায় অর্ধেকটি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এবারের আইপিএল নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া খেলোয়াড়রা এখনও পর্যন্ত কেমন পারফর্ম করেছেন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
ইশান কিষাণ- ১৫ কোটি
এ বারের আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে অধিক দামে ইশান কিষাণকে দলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৫ কোটির ইশান, মরশুমের প্রথম দুই ম্যাচে অর্ধশতরান করে শুরুটা বেশ ভালই করেছিলেন। তবে যত সময় যাচ্ছে, ধুঁকতে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে সঙ্গে ইশানের পারফরম্যান্সও ততই নিম্নমুখী হচ্ছে। এখনও অবধি ৭ ম্যাচ খেলে ১১৬.৬৪-র স্ট্রাইক রেট ও ৩১.৮৩ গড়ে মোট ১৯১ রান করেছেন ইশান। সুতরাং, বলাই বাহুল্য ইশান প্রত্যাশামতো একেবারেই পারফর্ম করতে পারছেন না।
দীপক চাহার- ১৪ কোটি
দীপক চাহারের ভাগ্য তো আরও খারাপ। নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে দীপক চাহারকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চোটের কারণে এ মরশুমের আইপিএল থেকেই ছিটকে গিয়েছেন দীপক। তাঁর অনুপস্থিতিতে সিএসকের অবস্থাও খুবই খারাপ।
শ্রেয়স আইয়ার- ১২.২৫ কোটি
দীপক চাহার না থাকায়, মরশুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় যিনি এ মরশুমের আইপিএলে খেলছেন, তিনি হলেন শ্রেয়স আইয়ার। কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শুরুটা বেশ ধীরে করেছিলেন। তাই সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সাম্প্রতিক কয়েক ম্য়াচে ব্যাটার শ্রেয়স নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৯.৩৩ গড় ও ১৪৮. ৪২ গড়ে শ্রেয়স ইতিমধ্যই সাত ম্যাচে ২৩৬ রান করে আপাতত সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছেন। মোটামুটি তাঁর পারফরম্যান্স আশানুরূপই।
লিয়াম লিভিংস্টোন- ১১.৫০ কোটি
গত মরশুমে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর, লিয়াম লিভিংস্টোনকে ১১.৫০ কোটি টাকা দিয়ে পঞ্জাব কিংস দলে নেওয়ার পর অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। তবে এবারে নিজের পারফরম্যান্সে জাত চিনিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড তারকা। ব্যাট হাতে ১৮২.২৫-র স্ট্রাইক রেটে তাঁর এখনও অবধি মোট সংগ্রহ ২২৬ রান। বল হাতে তিন উইকেটও নিয়েছেন লিয়াম। সুতরাং, তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা/ হার্ষাল প্যাটেল/ শার্দুল ঠাকুর/ নিকোলাস পুরান- ১০.৭৫ কোটি
লিয়াম লিভিংস্টোনের পর এ মরশুমে অংশগ্রহণ করা চার খেলোয়াড় যুগ্মভাবে ১০.৭৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দুই তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও হার্ষাল প্যাটেলের বিষয়ে কথা বলা যাক। সাত ম্যাচে ১৯.৫৪ গড়ে ১১ উইকেট নিয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছেন হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কান তারকা ব্যাটিং করতেও সিদ্ধহস্ত হলেও, সেই দক্ষতার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। সুতরাং, বলতেই হবে এই সাইনিং হিট। হার্ষাল ছয় ম্যাচে মাত্র ৭.২৯-র ইকোনমিতে আট উইকেট নিয়ে সফল হয়েছেন।
‘লর্ড’ শার্দুলকে বিশাল দামে দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের দলে নিয়েছিল। তবে ব্যাট হাতে ৭০ রান ও বল হাতে সাত ম্যাচে মাত্র সাত উইকেট, কোনও বিভাগেই একেবারেই আহামরি পারফর্ম করতে পারেননি তারকা অলরাউন্ডার। তাঁর এবারের মরশুমটা এখনও হতাশাজনকই কেটেছে। অপরদিকে, নিকোলাস পুরান এখনও অবধি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ব্যাট করার খুব বেশি সুযোগ পাননি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের হয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে এসেছেন তিনি। ছয় ম্যাচে তাঁর মোট রান মাত্র ১১৩ হলেও, ৫৬. ৫০-র গড় বলছে, তিনি সহজে আউট হচ্ছেন না। ফলে তাঁর বিষয় এখনও তেমন কিছু বলা উচিত হবে না।
For all the latest Sports News Click Here