রাজীব কাপুরের মৃত্যুর আগে শেষবার তাঁকে কী বলেছিলেন দাদা রণধীর কাপুর?
গত ৯ ফেব্রুয়ারির সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের ‘ফার্স্ট ফ্যামিলি’ কাপুর পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা বর্ষীয়ান অভিনেতা রাজীব কাপুর-এর। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৮ বছর। পরিবারের ঐতিহ্য মেনেই বলিউডে নিজের কেরিয়ার গড়েছিলেন রাজীবা কাপুর। ‘আসমান’, ‘জবরদস্ত’, ‘লাভার বয়’ ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করলেও হিন্দি ছবির ইতিহাসের পাতা থেকে দর্শকের হৃদয়ে তাঁর স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ‘রাম তেরি গঙ্গা মৈলি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। রাজীবের দাদা বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতা রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নার্সের তরফেই তিনি জেনেছিলেন ছোট ভাই রাজীবের নাড়ির স্পন্দন প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি, ইয়াহু ইন্ডিয়া-কে রণধীর কাপুর জানিয়েছেন রাজীবের মৃত্যুর আগে শেষবার তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের অংশ। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথাতেই জানা গেছে ছোট ভাই রাজীবের মৃত্যুর আগের দিন রাত ২টো নাগাদ শেষবার তাঁকে দেখেছিলেন তিনি। সেইসময় নাগাড়ে মদ্যপান করে যাচ্ছিলেন রাজীব। যা দেখে ছোট ভাইকে সামান্য ধমকও দেন দাদা। নির্দেশ দেন মদ্যপান বন্ধ করে যেন সে এইবেলা চটপট রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় চলে যায়। এর পরদিন সকালবেলা রণধীরকে তাঁর ব্যক্তিগত নার্স ঘুম থেকে তুলে জানান যে রাজীবের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক। এরপরেই দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব রাজীবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজীবের মৃত্যু প্রসঙ্গে দাদা রণধীর আরও জানান যে রাজীবের মৃত্যুর কথা তিনি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি। কারণ অন্য ভাই ঋষি কাপুরের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তা ছিল তাঁদের। ক্যান্সার আক্রান্ত ঋষির মৃত্যুর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মধ্যে চলে যান রাজীব। রণধীরের কথায়, ‘ঋষি তখনও বেঁচে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় জোরকদমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আমরা সময় পেলেই উড়ে যাচ্ছি তাঁর কাছে। এদিকে সারাক্ষণ ঋষির জন্য মৃত্যুচিন্তার পাক খেত মনে। ভীষণ ভয় পেতাম ওঁর জন্য। তবে রাজীবের মৃত্যুর কথা ঘুনাক্ষরেও কেউ ভাবতে পারিনি আমরা’।
For all the latest entertainment News Click Here