‘বাবা-মাকে এবার নিজেদের বাড়ি করে দিতে চাই’, স্বপ্ন MI-এর ১৯বছরের কোটিপতি তরুণের
আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ২২ রান করেছিলেন তিলক বর্মা। আর শনিবার রাজস্থান রয়্ বিরুদ্ধে ৩৩ বলে ৬১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও দু’টি ম্যাচই হেরে গিয়েছে মুম্বই। তবে নজর কেড়েছেন ১৯ বছরের তরুণ।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেটে তিলকের পারফরম্যান্স দেখে কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে তাঁকে বড় প্রতিভা বলে আগেই উল্লেখ করেছিলেন। শুধু জয়বর্ধনে একা নন, তিলককে নিয়ে এখন থেকেই বাজি ধরেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তিলক ২০২০ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এবং গত বছর মুস্তাক আলি ট্রফিতে ২১৫ রান করেছেন ১৪৭.২৬ স্ট্রাইক রেটে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরম্যান্স দেখেই তাঁকে ১.৭ কোটিতে সই করায় মুম্বই।
ক্রিকবাজে একটি সাক্ষাৎকারে তিলক বর্মা জানান, তাঁর কোচ, মা-বাবা, তাঁর কাছের মানুষেরা নিলামের পর কী ভাবে আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন নিলাম চলছিল, তখন আমি আমার কোচের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কলে ছিলাম। তিনি এত খুশি হয়েছিলেন যে, আবেগের জেরে কিছু বলতেই পারছিলেন না। তিনি কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলেন। আমাকে বাছাই করার পর, আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারাও হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করেছিল। কান্নায় তাদের গলা বুজে এসেছিল।’
একটা সময়ে হায়দরাবাদের চন্দ্রগুট্টা এলাকার রাস্তায় ক্রিকেট খেলতেন তিলক বর্মা। বাবা ছিলেন ইলেকট্রিশিয়ান। সেই থেকে লড়াই শুরু। এখন তিনি কোটিপতি। তবে পুরনো অভাব-অনটনের কথা মনে করে তিলক বলছিলেন, ‘ছোট থেকেই আমরা অনেক আর্থিক সমস্যায় পড়েছি। আমার বাবাকে তার সামান্য বেতন দিয়ে আমার ক্রিকেটের খরচের পাশাপাশি আমার বড় ভাইয়ের পড়াশোনার খরচও চালাতে হত। গত কয়েক বছরে কিছু স্পন্সরশিপ এবং ম্যাচ ফি পেয়েছি। তাই দিয়েই এখন আমি নিজের ক্রিকেট খেলার খরচ মেটাতে শুরু করি।’
তবে নিজেদের কোনও বাড়ি না থাকায় আফসোস রয়েছে তিলকের। তাই তিনি বলেছেন, ‘এখনও আমাদের নিজেদের কোনও বাড়ি নেই। তাই এই আইপিএলে আমি যা উপার্জন করেছি, সেটা দিয়ে আমার একমাত্র লক্ষ্য বাবা-মায়ের জন্য একটি বাড়ি কিনে দেওয়া। আইপিএলের এই অর্থ আমাকে আমার বাকি জীবন খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক স্বস্তি দিয়েছে।’
For all the latest Sports News Click Here