প্যাট করলে দারুণ, বিরাট করলে উদ্ধত, কামিন্স-ল্যাঙ্গার বিতর্কে উত্তাল নেটপাড়া
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এবং বিতর্ক যেন একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারে না। কিছুদিন আগেই টিম পেইনের সেক্সচ্যাট কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল অজি ক্রিকেট মহল। এবার একই ছবি দেখা গেল অতর্কিতে জাস্টিন ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়ান কোচ হিসাবে পদত্যাগ করায়।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর অজি কোচের পদ ছাড়েন ল্যাঙ্গার। এই গোটা প্রক্রিয়ায় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ল্যাঙ্গারের মতবিরোধ এবং প্যাট কামিন্সের মতো সিনিয়ার ক্রিকেটার তথা অধিনায়ক ল্যাঙ্গারের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে থাকাকেই দায়ী করা হচ্ছে একাধিক মহলে। সেই মর্মেই বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্যাট কামিন্স এক বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে কামিন্স ল্যাঙ্গারকে চার বছর ধরে দলের কোচের ভূমিকা সাফল্যের সঙ্গে পালন করায় ধন্যবাদ জানালেও, সাফ জানিয়ে দেন তাঁর কোচিং প্রক্রিয়া দলের খেলোয়াড়দের একেবারেই পছন্দের নয়।
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই পাঁচ বছর আগে ভারতীয় কোচ হিসাবে অনিল কুম্বলের অপসারণের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। সেইবারও প্যাটের জায়াগায় তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি, কুম্বলের কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না বলেই তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। কোহলিকে এর জন্য বিরাট সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেইভাবে কামিন্সকে সমালোচনা নয়, বরং তাঁর বিবৃতির জন্য বাহবাই দেওয়া হচ্ছে।
এতেই চটেছেন বিরাট ভক্তরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধে নিজেদের আওয়াজ তুলেছেন। একজন লেখেন, ‘প্যাট করলে দারুণ, আর বিরাট করলে ও উদ্ধত, ওর ইগো আছে। ভারতবর্ষে স্বাগত।’ আরেকজন লেখেন, ‘আমি তো বুঝে উঠতে পারছি না কামিন্স-ল্যাঙ্গার বিতর্ক কোনদিক থেকে কুম্বলে-কোহলি কাণ্ডের থেকে আলাদা। আমার স্পষ্ট মনে আছে সমর্থক থেকে মিডিয়া সকলেই কীভাবে কোহলিকে গালমন্দ করেছিল। তবে কামিন্সের ক্ষেত্রে এমনটা চোখে পড়ছে না।’ নিঃসন্দেহে বলাই যায়, বর্তমানে কোহলি ভক্তরা কিন্তু খুব একটা তুষ্ট নন।
For all the latest Sports News Click Here