‘মেরুদণ্ড সোজা রাখ, মৃত্যুকে ভয় কীসের?’, জ্যাকির জীবন দর্শনে মুগ্ধ নেটপাড়া
জীবন মানে ছন্দে ওঠা পড়া। জীবন মানে ভাঙা গড়ার খেলা। জীবন মানে স্রোতের মতো বয়ে চলা। কারুর জন্য জীবন থেমে থাকে না। এমনই জীবন দর্শনে বিশ্বাসী জ্যাকি শ্রফ। যা শুনে মুগ্ধ নেটপাড়া।করোনা আবহে অদ্ভূত এক বিষন্নতা ঘিরে ধরেছে গোটা বিশ্বকে। নিউ নর্ম্যালের সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে নিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। করোনার তৃতীয় ঢেউ ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এই সময় শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়াটাও খুব জরুরি। কারণ কঠিন সময়ে ডিপ্রেশন ঘিরে ধরছে মানুষকে।
করোনা জর্জরিত এই কঠিন সময়ে আশার কিরণের মতোই উদিত হয়েছে জ্যাকি শ্রফের এক পুরোনো ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে নিজের জীবন দর্শন ভাগ করে নিয়েছেন ‘রঙ্গিলা’ অভিনেতা। সব বিষয় নিয়ে সদার্থক চিন্তাভাবনা থাকাটা কতটা জরুরি সেই কথাই এই ভিডিয়োতে ভাগ করে নিয়েছেন টাইগার শ্রফের বাবা।
একদম নিজের ভঙ্গিতে সাবলীলভাবে কথা বললেন জ্যাকি। মুম্বইয়া হিন্দি (টপোরি ভাষা)-তে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘যদি তোমার চারিদিকের মানুষের দুঃখ গুলোর দিকে তাকাও তবে উপলব্ধি করবে এদের সামনে তোমার দুঃখটা কতটা অর্থহীন। তাই ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে হতাশ হওয়ার, কান্নাকাটি করবার কোনও দরকার নেই। আমার এটা নেই, সেটা নেই… ভেবো না। তুমি স্বাস্থ্যবান থাকবে সেইটুকুই যথেষ্ট। অল্পেতে খুশি থাকাটা জরুরি, তোমার যা আছে সেইটুকু নিয়ে খুশিতে বাঁচাটা জরুরি’।
মৃত্যুঞ্জয় হতে হবে, কারণ মৃত্যু চিরন্তন সত্য। তাকে এড়ানো যায় না। জ্যাকি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলেন। জানান, ‘জীবনে বাবা-মা, ভাই’কে হারিয়েছি। আবার আমার জীবে কৃষ্ণা, টাইগার আর ওদের মা এসেছে। তিনজন গেছে, তিনজন এসেছে। আমিও একদিন চলে যাব, সেই জায়গা পূরণ করতে অন্য কেউ আসবে। সবাই তোমাকে ছেড়ে যাবে, তুমিও একদিন এই দুনিয়া ছেড়ে যাবে। আমরা সবাই এটা জানি’।
সবশেষে জ্যাকি শ্রফ যোগ করেন, জীবনের সব মুশকিলের মুখোমুখি হতে হবে হাসি মুখে। তিনি বলেন, ‘কাঁদতে শুরু করলে সারা জীবন কাঁদতেই হবে। জীবনে যখন কোনও সমস্যায় পড়বে হাসি মুখে মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখ, কোনও বিষয় নিয়ে টেনশন করো না’।
সত্যি তো এমনই একজন মোটিভেশন্যাল স্পিকারের বড্ড বেশি প্রয়োজন আমাদের, তাই নয় কি?
For all the latest entertainment News Click Here