টিউবওয়েল ড্রিলিং কোম্পানি থেকে বলিউড! এক ছবিতেই পাল্টেছিল ধর্মেন্দ্রর জীবন,দেখুন
গত মাসেই ৮৬তম জন্মদিন পালন করেছেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের প্রথম অ্যাকশন হিরো তিনি। এই বয়সেও নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন তিনি। বেশিরভাগ সময়টাই এখন শহুরে কোলাহল থেকে দূরে খামার বাড়িতে কাটান সত্তর-এর দশকের এই সুপরাস্টার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণ অ্যাক্টিভ তিনি। দিন কয়েক আগেই ভাইরাল হয়েছিল তাঁর ‘চাক্কি পিসিং’ ভিডিয়ো। এখনও ফিটনেসের মামলায় খুব সচেতন এই বলিউড তারকা।
এদিন টুইটারের দেওয়ালে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেন ধর্মেন্দ্র। সেখানে চকোলেট রঙা ফুলস্লিভস শার্ট আর প্যান্টে হাসিমাখা মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তরুণ ধর্মেন্দ্র। কয়েক দশক পুরোনো এই ছবির ছবির ক্যাপশনে বর্ষীয়ান অভিনেতা লেখেন, ‘ফিট থাকো, ফাইন থাকো…. জীবন খুব সুন্দর কাটবে, পড়ে নাও আমার মুখশ্রীটা পড়ে নাও’।
এই ছবির কমেন্ট বক্সে ভক্তরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় তাঁদের প্রিয় ‘গরম ধরম’কে। সেই ছবিরই কমেন্ট বক্সে এক জনৈক ধর্মেন্দ্রর একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে প্রিয় তারকার কাছে প্রশ্ন রাখেন, এই যুবকের ছবি দেখে আপনার কাছে জানতে চাইছি এই ফটো কবেকার এবং এই যুবক সেই সময় কী করত? এই ছবি দেখে নস্টালজিক অভিনেতা। বলা বাহুল্য ছবিটি ধর্মেন্দ্রর অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগের।
অনুরাগীকে জবাবে ধর্মেন্দ্র জানান, ‘শাদাব, আমি সেই সময় হেরল্ড টি স্মিথ নামের এক আমেরিকান টিউবওয়েল ড্রিলিং কোম্পানিতে চাকরি করছিলাম। এই ফটোটা তুলেছিলেন জান মহম্মদ, এটা আমার খুব লাকি ছবি। এটাই আমাকে ছবির জগতে নিয়ে আসে।
‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরা’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অভিনেতা। সালটা ১৯৬০। সেই ছবিতে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ৫১ টাকা। বলিউডে পা রাখবার আগেই বিবাহিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর প্রথম প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কর, তাঁদের চার সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েন ধর্মেন্দ্র এবং তাঁকে বিয়েও করেন। কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি অভিনেতা।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অনুরাগীদের অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। ভারতীয় সিনেমার অন্যতম মাইলস্টোন ‘শোলে’ তাঁর কেরিয়ারের এক মোড় ঘোরানো ছবি। এছাড়াও ‘চুপকে চুপকে’, ‘দোস্ত’, ‘নয়া জামানা’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘হুকুমাত’, ‘ইয়াদো কি বারসাত-এর মতো হিট ছবির অংশ থেকেছেন তিনি।
For all the latest entertainment News Click Here