SC EB vs Jamshedpur FC: প্রথমে এগিয়ে গিয়েও ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদকে
প্রথম ম্যাচেই নিরাশ করলেন লাল-হলুদ বাহিনী। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে যে ফুটবলটা খেলল তারা, সেটা বড়ই ম্যাড়ম্যাড়ে জৌলুসহীন। অনেকটা পাড়ার ক্লাবের স্তরেই নিজেদের খেলা নামিয়ে আনল তারা। নামীদামী সব ফুটবলার। বড় মঞ্চ। কিন্তু খেলার মধ্যে নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া গেল না। সেই তুলে বল দেওয়া, রক্ষণ সামলাতে ল্যাজেগোবরে হওয়া, আক্রমণের কোনও ঝাঁজও ছিল না। যার নিট ফল, আইএসএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট নষ্ট করল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে
ভুল স্ট্র্যাটেজির কারণেই কি আটকে যেতে হল ইস্টবেঙ্গলকে? জঘন্য রক্ষণ, দলের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব, প্রথম ম্যাচেই ফুটবলারদের মধ্যে একটি গা-ছাড়া মনোভাব, তার উপর কোচের দল নির্বাচন এবং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। রফিককে উইঙ্গার হিসেবে খেলানোটা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত, সেটা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে ১-১ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদকে। তবে এ রকম খেললে ডার্বিতে যে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভরাডুবি হবে, সে কথা স্বীকার করে নেবেন অতি বড় লাল-হলুদ সমর্থকও। জামশেদপুর এফসি বরং বিরতির পর বেশ ভালো খেলল। নজরও কাড়ল।
জামশেদপুরের পরিবর্তন
৭২ মিনিট: ভাল্সকিসের জায়গায় নামলেন জর্ডন মারে।
৭৬ মিনিট: নরেন্দর এবং স্টুয়ার্ট নামলেন লেন এবং সাবিয়ার পরিবর্তে।
৬৫ মিনিট: বল পজেশনে এগিয়ে জামশেদপুর
ম্যাচের ৬৫ মিনিট হয়ে গেল। লাল-হলুদের সে ভাবে আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখা গেল না। বরং গোলের জন্য ছটফট করছে জামশেদপুর। বেশ সংগঠিত ফুটবল খেলছে তারা। বল পজেশনেও এগিয়ে রয়েছে জামশেদপুর। যখন লাল-হলুদের বল পজেশন ৪১ শতাংশ। তখন জামশেদপুরের বল পজেশন ৫৯ শতাংশ।
৬০ মিনিট: জোড়া পরিবর্তন লাল-হলুদের
চিমা আজ ছন্দে ছিলেন না একেবারেই। তাই তাঁকে তুলে ফেলা হল। সঙ্গে লালরিনলিয়ানা হামতেকেও তুলে ফেলা হল। বদলে নামলেন জ্যাকিচাঁদ সিং এবং আমির ডেরভিসেভিচ।
বিরতিতে খেলার ফল ১-১
ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা এ বারও সেই রক্ষণ। গত বার রক্ষণের কারণেই ডুবতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। এ বারও সেই সমস্যা কিন্তু প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ প্রকটই ছিল। যে কারণে বিরতির আগেই জামশেদপুর গোল শোধ করে দেয়। দ্বিতীয়ার্দে যদি রক্ষণে কোনও উন্নতি না হয়, তা হলে কিন্তু লাল-হলুদকেই চাপে পড়তে হবে।
১-১ করল জামশেদপুর
কর্নার থেকে গোল করে সমতা ফেরালেন জামশেদপুরের অধিনায়ক পিটার হার্টলে। রক্ষণের যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই কিন্তু সমতা ফেরান হার্টলে।
অফসাইডের কারণে বাতিল গোল
কর্নার থেকে অসাধারণ ভলিতে বল জালে জড়িয়েছিলেন মার্সেলা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে গেল। না হলে কিন্তু বিরতির আগে ২-০ এগিয়ে যেত এসসি ইস্টবেঙ্গল।
১০ মিনিট: ফল এখনও গোলশূন্য
ম্যাচের দশ মিনিট হয়ে গেল। উল্লেখযোগ্য কিছু এখনও ঘটেনি। লাল-হলুদের খেলায় নতুনত্বও কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই তুলে তুলে বল খেলা। সংগঠিত আক্রমণ এখনও চোখে পড়েনি।
জামশেদপুর এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গলের আগের ফলাফল
এখনও পর্যন্ত এই দুই দল দু’বার মুখোমুখি হয়েছে। ১-০ ফলে কিন্তু এগিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড। একটি ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। অন্য ম্যাচটি ২-১-এ জিতেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
গত বারের লাল-হলুদের ব্যর্থতা
গত বছর প্রথম বার আইএসএল খেলেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথম বছরেই হতাশ করেছিল তারা। এ বারও শুরুতেই ক্লাব এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঝামেলার জেরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলাটা প্রায় বন্ধই হয়ে যেতে বসেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কোনও মতে শেষ পর্যন্ত টিম গড়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
গত বছর ২০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ন’টি ম্যাচ হেরেছিল। বাকি ৮টি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। এ বার অবশ্য সেই ফলের পুনরাবৃত্তি কোনও ভাবেই চায় না তারা।
For all the latest Sports News Click Here