‘স্বৈরাচারই ঠাণ্ডা করার পথ ছিল’, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বিস্ফোরক কঙ্গনা
শুক্রবার সকালে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের আন্দোলনের কাছে অবশেষে নতি স্বীকার কেন্দ্রের। এদিন দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মোদী বলেন, ‘হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে’। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ঝাঁঝালো সুরে কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মতামত জাহির করেন।
একদিন কঙ্গনা লেখেন, ‘দুঃখিত, লজ্জিত, এটা এক্কেবারে বেঠিক। যদি মানুষজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আইন বানাতে শুরু করে,পার্লামেন্টে নির্বাচিত সরকারের বদলে তাহলে এটাও জিহাদিদের রাষ্ট্র।সকলকে শুভেচ্ছা যাঁরা এমনটাই চেয়েছিলেন’।
অপর একটি পোস্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছবি শেয়ার করে ‘মনিকর্ণিকা’ অভিনেত্রী লেখেন, ‘যখন রাষ্ট্রের বিকেক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল, তখন লাঠিই ছিল শেষ কথা আর একনায়কতন্ত্রই একমাত্র সমাধান… শুভ জন্মবার্ষিকী ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার’। উল্লেখযোগ্যভাবে শুক্রবার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী।
শুক্রবার গুরু পূর্ণিমার দিন মোদীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের এই ঘোষণাকে কৃষকদের বিরাট জয় বলেই দেখছে গোটা দেশ। তবে মোদীর এই ঘোষণার পরই কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত জানিয়ে দেন যে যতদিন না সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে। সুতরাং মোদীতে ভরসা রাখছেন না কৃষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে পঞ্জাব নির্বাচনের আগে এটি মোদীর মাস্টারস্ট্রোক।
২০২০-র সেপ্টেম্বরে লোকসভায় কৃষি বিল পাশের পর থেকে রাস্তায় নেমে প্রবল বিক্ষোভে সোচ্চার হন লাখো লাখো কৃষক। হরিয়ানা, পঞ্জাবের কৃষকরা রাজধানী দিল্লির সীমানায় দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে। বিক্ষোভের রেশ থেকে পিছিয়ে ছিল না উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দল শুরু থেকেই কৃষকদের পাশে ছিল। আন্তর্জাতিক স্তরেও এই কৃষি আন্দোলনের জেরে সমালোচিত হয়েছে মোদীর সরকার। অবশেষে পিছু হঠল কেন্দ্র। জয়ের চওড়া হাসি কৃষকদের মুখে।
For all the latest entertainment News Click Here