কোনও উৎসব নয়, জন্মদিনের আগেই তিতাস দেশকে সোনা জেতালেও উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না বাবা
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। আর এই ভারতীয় দলেই রয়েছেন বাংলার রিচা ঘোষ এবং তিতাস সাধু। ভারতের এই জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিতাস। বিপক্ষের তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। আর তাতেই ভারতের জয়ের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
বঙ্গ সন্তানের এই তিন উইকেট ভারতে এশিয়াডে সোনা এনে দিল। বলা ভালো ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি গোটা দেশ। ঠিক তেমনই আনন্দে মেতে উঠেছে তিতাসের পরিবারও। আর চারদিন পরই তিতাসের জন্মদিন। তার আগে এই জয় জন্মদিনের আনন্দ যে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও জন্মদিন নিয়ে আলাদা কোনও পরিকল্পনা নেই তিতাসের পরিবারের। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু জানান, ‘বুধবারই সম্ভবত ওরা দেশে ফিরবে। কতকাতায় সেইদিনই আসবে কিনা জানি না। তবে জন্মদিনের জন্য কোনও আলাদা পরিকল্পনেই। তবে কলকাতায় ফিরলেই বাংলার অনুশীলনে যোগ দিতে হবে।’
এশিনায় গেমসে সোনা পেলেও তিতাসের বাবা একেবারেই চাননা এই নিয়ে মেতে থাকুক তাঁর মেয়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে কোনও ক্রিকেটারের প্রথম লক্ষ্য থাকে ভারতের জার্সি পরে খেলা। কিন্তু সেখানে থেমে থাকলে চলবে না। সেখান থেকেই লড়াইটা শুরু হয়। তিতাস ভারতের জার্সি পরেছে। দলকে জিতিয়েছে। এটা ওর এবং আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। তবে আমি চাইব তিতাসের লক্ষ্য হোক দেশের হয়ে ১০০ ম্যাচ খেলা। ফলে এই সোনা জয়ের অনন্দে বেশি মেতে থাকলে নিজের ফোকাস থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমি চাই দেশে ফিরেই যেন আগামীর প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে তিতাস।’
তিতাসের এই পারফরম্যান্সে খুশি কোচ শিবশঙ্কর পালও। তিনি বলেন, ‘আমার এক বন্ধু তিতাসকে নিয়ে আসে। তখন ওর ১৬ বছর বয়স। তখন থেকেই ও দুর্দান্ত বল করতে পারত। তিতাসকে আমি বাংলার সিনিয়র দলের অনুশীলনে নিয়ে যাই। কোনও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট না খেলা সোজা বাংলার অনুশীলনে। যদিও তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু তিতাস নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে। সোমবার চিনের মাঠে তিতাসের খেলা দেখে গর্ব হচ্ছিল। আমি চাই আরও এগিয়ে যাক। শুধু বোলিং নয়, তিতাস ব্যাটটাও ভাল করে। আগামী দিনে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার মতো ক্ষমতা আছে তিতাসের।’
For all the latest Sports News Click Here