জলের পাত্র, নকুল দানা রাখা অরিজিতের জিয়াগঞ্জের বাড়ির সামনে! কারণটা কী?
অরিজিৎ সিং-এর মতো ভালোবাসা খুব কম গায়কের কপালেই জোটেন। যেখানেই যান সেখানেই তাঁকে একঝলক দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। খুব সাধারণ ভাবেই থাকনে এখনও। বিলাসবহুল গাড়ি, দামি দামি জামাকাপড়ে তাঁকে দেখা যায় না কখনোই। কিন্তু এই মানুষটারই লাইভ কনসার্টে সবচেয়ে দামি টিকিটটি থাকে লাখ টাকার ঘরে।
অরিজিতের জীবনের স্বপ্ন তিনি নিজের এলাকায় একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খুলবেন। যাতে সেখানে খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে এলাকার মানুষ। মা-কে করোনায় হারানোর পর থেকেই এমন স্বপ্ন অরিজিতের মনে। এমনিতেও এই এলাকার প্রতি তাঁর টান অগাধ। বেশিরভাগ কাজ বলিউডে করলেও, এখনও কিন্তু থাকেন জিয়াগঞ্জেই। একটু ফাঁকফোকর পেলেই চলে আসেন নিজের বাড়ি। জিয়াগঞ্জের এলাকায় তাই প্রায়শই চোখে পড়ে যান অরিজিৎ। কখনও স্কুটার চালিয়ে বাজারে যাচ্ছেন, কখনও আবার স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন দুই ছেলেকে।
স্বভাবতই অরিজিতের জিয়াগঞ্জের বাড়ির বাইরে লেগেই থাকে অনুরাগীদের রমরমা। হাজির হয়ে যান ইউটিউবাররাও ভ্লগ বানানোর কাজে। সেরকমই কিছু ভ্লগে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে আজকাল নাকি অরিজিতের বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছে জলের পাত্র, নকুলদানা। সত্যিই কি তাই?
এই সময়ের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গায়কের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৈশাখ মাসজুড়েই বাড়ির সামনে জলের পাত্রটি রাখা ছিল। এবারে চড়া রোদে, ঘামে নাজেহাল হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। বাড়ির দোরগোড়া থেকে যাতে কোনও পিপাসুকে শুকনো গলায় ফেরত না যেতে হয় তাই হয়তো এমন উদ্যোগ। আবার জলের সঙ্গে রাখা থাকত নকুলদানা। আগেকার দিনেও কিন্তু বাড়িতে কেউ এলে, তাকে জল মিষ্টি না খাইয়ে ছাড়ত না মা-দিদিমারা। বোঝা যায়, পুরনো সংস্কার এখনও ভোলেনি এই পরিবার।
অরিজিতের নিজস্ব হোটেলও আছে জিয়াগঞ্জে। যেখানে খুব স্বল্পমূল্যে খাবার পাওয়া যায়। খাবারের গুণমানও অসাধারণ। প্রতিবার গায়কের জন্মদিনে দুস্থ মানুষদের পেট ভরে খাওয়ানো হয় এই হোটেলে। এভাবেই অরিজিৎ বারবার মন জয় করছেন তাঁর ভক্তদের।
কাজের সূত্রে, অরিজিতের ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবির জন্য গাওয়া পাসুরি-র রিমেক নিয়ে উঠেছিল অনেক বিতর্ক। বড় একটা অংশ সেই সময় দাবি তোলে যে, অরিজিতের গাওয়া গান তাঁদের একেবারেই মনে ধরেনি। পরে অরিজিতের আন ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, নির্মাতারা তাঁকে জানিয়েছিলেন এই গান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে দুস্থ বাচ্চাদের জন্য স্কুল খোলা হবে। তাই গালি খেতে হবে জেনেও গানটা গেয়েই ফেলেন।
For all the latest entertainment News Click Here