‘আমি কেঁদে ফেলি’, অরিজিতের সঙ্গে না-জানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন উষা উত্থুপ
অরিজিৎ সিং তাঁর গান দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। শুধু সাধারণ মানুষ নন, অরিজিতের গানের ভক্ত বহু তারকারাও। সংগীতের জগতের খ্যাতনামা মুখ উষা উত্থুপ একবার করেছিলেন জিয়াগঞ্জের এই ছেলেকে নিয়ে বড় মন্তব্য। জানালেন, একবার অরিজিতের গাওয়া একটা গান শুনে কেঁদেই ফেলেছিলেন তিনি।
উষাকে একবা এক সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘রোম্যান্টিক গায়ক হিসেবে কে সেরা, অরিজিৎ না কুমার শানু?’ আর তাতে দুই গায়কেরই দরাজ গলায় প্রশংসা করেন তিনি। তবে সঙ্গে অরিজিতের সম্পর্কে ফাঁস করেছিলেন কিছু না জানা কথা।
উষা বলেন, ‘দুজনেই খুব ভালো গায়ক। কারও সঙ্গে কারও তুলনা হয় না।’
এরপর অরিজিতকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর খুব ভালো সম্পর্ক। ও খুব ভালো গায়ক। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। আমার মতো অনেকেই ওকে খুব ভালোবাসে। আসলে ও তো সবার থেকে আলাদা। খুব সাধারণ জীবনযাপন করে। খুব ফ্যামিলি ম্যান। আর ওকে তো আজ থেকে চিনি না…’
‘আমি ওকে প্রথম দেখি ফেম গুরুকুলে। তখন তো বাচ্চা। চোখের সামনে বড় হতে দেখলাম। কঠোর পরিশ্রম করে আজ নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছে তা অবাক করার মতো বৈকি। এখনও মনে আছে খাদ ছবির দেখো আলোয় আলো আকাশ গানটা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। এখনও গানটা শুনলে কান্না পায়। এমন আরও অনেক গান ও করেছে যেগুলো চোখে জল এনে দেয়।’, নিজের বক্তব্যে আরও যোগ করেন উষা।
অরিজিৎ সিং-এর হিট গানের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। খুব স্বল্প দৈর্ঘ্যের কেরিয়ারেই ছুঁয়ে ফেলেছেন সাফল্য। তবে ভালোবাসেন আজও মাটিতে পা রেখে চলতে। বলিউডে বেশিরভাগ কাজ করলেও, এখনও কাজ না থাকলেই চলে আসেন জিয়াগঞ্জে। সেখানকারই স্কুলে লেখাপড়া করে তাঁর দুই ছেলে। বাড়িতে রয়েছেন বাবা ও স্ত্রী কোয়েল। করোনায় বছরখানেক আগেই হারিয়েছেন মা-কে। জিয়াগঞ্জের রাস্তায় দেখা যায় আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। না আছে বডিগার্ডের বাহুল্য, না দামি দামি গাড়ির।
এই মানুষটার লাইভ শো-র টিকিটের দামই কিন্তু আকাশ ছোঁয়া। তা পেরিয়ে যায় লাখ টাকার গণ্ডি। এক ঝলক দেখতে, একবার হাত মেলাতে পাগলের মতো ছুটে আসে অনুরাগীরা। তবে এত সাফল্য, এত ভালোবাসার পরেও ‘মাটির মানুষ’-ই রয়ে গিয়েছেন অরিজিত।
For all the latest entertainment News Click Here