Duleep Final: ব্যর্থ পূজারা, সূর্যরা- পশ্চিমাঞ্চলকে লড়াইয়ে রাখলেন দলের অধিনায়ক
চেতেশ্বর পূজারা, সূর্যকুমার যাদব, পৃথ্বী শ’রা দলের প্রয়োজনেও জ্বলে উঠতে পারলেন না। ফের ব্যর্থ হলেন তাঁরা। তবে পশ্চিমাঞ্চলকে লড়াইয়ে রাখলেন প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল। অপরাজিত ৯২ করে পশ্চিমাঞ্চলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক।
দলীপ ট্রফির ফাইনালের চতুর্থ দিনে প্রিয়াঙ্কের হাত ধরেই পশ্চিমাঞ্চল ৫ উইকেটে ১৮২ রানে পৌঁছে যায়। এখন তাদের জিততে হলে ১১৬ রান করতে হবে। আর দক্ষিণাঞ্চলকে ফেলতে হবে ৫ উইকেট।
তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চলের স্কোর ৭ উইকেটে ১৮১ রান। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে এই মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চলের লিড ছিল ২৪৮ রানের। সেখান থেকে ওয়াশিংটন সুন্দররা ২৩০ রানে নিয়ে যায় ইনিংস। ফলে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের লিড মিলিয়ে ২৯৮ রান জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় পশ্চিমাঞ্চলের। যে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চূড়ান্ত হতাশ করেন তিন তারকা প্লেয়ার- পৃথ্বী (৭), পূজারা (১৫), সূর্যকুমাররা (৪)। পশ্চিমাঞ্চলের ভরসা এখন একমাত্র প্রিয়াঙ্কই।
আরও পড়ুন: রোহিত-যশস্বীর সেঞ্চুরির উৎসবের মাঝে তৃতীয় মন্থরতম অর্ধশতরান কোহলির, গড়লেন লজ্জার নজির
তৃতীয় দিনের শেষে ওয়াশিংটন সুন্দর ১০ এবং বিজয়কুমার বৈশক ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিনের শুরুতে তাঁরা একই জায়গা থেকে খেলা শুরু করেন। সুন্দর ৩৭ রান করেন। বিজয়কুমার ২৩ করেন। টেল এন্ডারের দু’জন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এদিন বাকি তিন উইকেট তুলে নেন পশ্চিমাঞ্চলের ধর্মেন্দ্রসিংহ জাদেজা। তিনি মোট ৫ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরজান নাগওয়াসওয়ালা, অতীত শেঠ ২টি করে উইকেট নেন। ১উইকেট নিয়েছেন চিন্তন গাজা।
আরও পড়ুন: সবে তো শুরু, বিরাট-রোহিত ভাইদের থেকে শিখছি- অভিষেকে সাফল্যেও মাটিতে পা যশস্বীর
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ফের ব্যাটিং ব্যর্থতা পশ্চিমাঞ্চলের। প্রিয়াঙ্কের অপরাজিত ৯২ রানই প্রধান পুঁজি হয় পশ্চিমাঞ্চলের। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চারে। এ ছাড়া সরফরাজ খান ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৪৮ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে প্রিয়াঙ্কা এবং সরফরাজের ৯৮ রানের জুটিই অক্সিজেন হয় পঞ্চিমাঞ্চলের ইনিংসে। যখন এই দুই তারকা ব্যাট করছিলেন, তখন ম্যাচটা পশ্চিনেই হেলে গিয়েছিল। কিন্তু সরফরাজকে বোল্ড করেন সাই কিশোর। আর এই জুটি ভেঙে ফের খেলার রং বদলে দেন সাই কিশোর। চতুর্থ দিনের শেষে প্রিয়াঙ্কের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অতীত শেঠ। তিনি এক বলই খেলেছেন। তবে রানের খাতা খোলেননি। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বাসুকি কৌশিক ৩ উইকেট নিয়েছেন। বিজয়কুমার বৈশক এবং সাই কিশোর একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ২১৩ রান করেছিল। হনুমা বিহারী ৬৩ এবং তিলক বর্মা ৪০ রান করেছিলেন। ২৮ করেছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৪৬-এ গুটিয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল। একমাত্র পৃথ্বী শ’ ৬৫ করেছেন। হার্ভিক দেশাই ২১ করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে একাই ৭ উইকেট নেন কাভেরাপ্পা। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং অর্ডার। চেতেশ্বর পূজারা, সূর্যকুমার যাদব, সরফরাজ খানরা কিছুই করে উঠতে পারেননি। দেখার প্রিয়াঙ্কের হাত ধরে ফের ট্রফির দখল পশ্চিমাঞ্চল নেন, নাকি দক্ষিণাঞ্চলের বোলাররা পঞ্চম দিনে বাজিমাতে করে!
For all the latest Sports News Click Here