‘তোমায় আগামিতেও আগলাব বাচ্চা বউ’, বিচ্ছেদ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জিতু,ধন্দে নেটপাড়া
২০১৯ সালের ৬ই মে অগ্নি সাক্ষী রেখে নবনীতাকে ‘অর্ধাঙ্গিনী’ বানিয়েছিলেন জিতু কমল। স্টার জলসার সিরিয়ালের সেটে শুরু হওয়া গল্প পেয়েছিল কাঙ্খিত পরিণতি। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই আচমকা ছন্দপতন। পথ আলাদা হল জিতু-নবনীতার। কাগজে-কলমে এখনও স্বামী-স্ত্রী তাঁরা, তবে ডিভোর্সের আবেদন ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছেন। নবনীতার ফেসবুক পোস্ট দেখে এদিন মন ভার জুটির ভক্তদের। আরও পড়ুন-বিয়ে অধ্যায়ে ইতি নবনীতা-জিতুর! ‘আমরা দুুজন দুজনের সাথে ভালো নেই’, লিখলেন নায়িকা
‘ইস্মার্ট জোড়ি’ জিতু-নবনীতার মধ্যে আচমকা হলটা কী? বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে নেটমাধ্যমে লম্বা পোস্ট লেখেন নবনীতা। স্বামী জিতুর উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন নায়িকা। এরপর সংবাদমাধ্যমেও মুখ খোলেন। নবনীতা জানান, ‘কোথাও কিছু একটা বলে হালকা হতে চাইছিলাম। আরও তিন মাস আমরা আলাদা থাকব। সম্ভবত অগস্টেই ডির্ভোসের ডেট ফাইনাল হবে।’
নবনীতা অনেককিছু বললেও চুপ ছিলেন জিতু। ফোনে শতচেষ্টা করেও জিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে ফেসবুকেই জবাব দিলেন তিনি। নবনীতাকে ‘বাচ্চা বউ’ সম্বোধন করে তিনি লেখেন- ‘তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাব। আগামীতে তাই করব, বাচ্চা বউ।’ সঙ্গে শেয়ার করে নেন করোনাকালে নবীনতাকে নিয়ে লেখা একটি লম্বা পোস্ট। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়ালে নবনীতার মা তারার বেশে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে সেই লেখাটি লিখেছিলেন জিতু। সঙ্গে মিডিয়াকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখেন- ‘মিডিয়া বন্ধুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। একটু বোঝো তোমরা’।
জিতুর সেই পুরোনো পোস্টে স্পষ্ট স্ত্রীর প্রতি কতটা যত্নশীল তিনি। করোনাকালে নবনীতাকে শ্যুটিংয়ে ‘একা ছাড়তে হবে’ ভেবে চিন্তিত ছিলেন জিতু। লিখেছিলেন, ‘কে দেখবে আজ থেকে তোমায়.. তুমি নিজের অজান্তেই মুখে হাত দিয়ে ফেলো, হাত ধুতে গিয়ে ভালো করে দুহাত ধোয় না, মুখের মাস্কটা বারবার পরে যায় নাক থেকে, অন্য কেউ মাস্ক ছাড়া কাছে এগিয়ে এলে একটু চড়া সুরে না বলতে পারো না..আরও না জানি কত কি.. সবটাই আমি লক্ষ্য করতাম..খুব বকাও দিতাম..’। জিতুর এই লেখনি দেখে ধন্দে ভক্তরা। নবনীতা বিচ্ছেদের কথা স্পষ্ট করেছেন, আবার জিতুর পোস্ট দেখে মনে হবে যেন স্বামী-স্ত্রীর মান-অভিমানের পালা চলছে।
একজন নেটিজেন লেখেন- ‘বাচ্চা বউ বাচ্চা বর মিলে মানুষ কে কনফিউজড করছেন কেন?’ অপর একজন লেখেন-‘তোমাদের সম্পর্কটা অটুট থাকুক, এটাই সবাই চাই। ভুল বোঝাবুঝিগুলো মিটিয়ে নাও’।
গত মে মাসে জিতুর সঙ্গে লন্ডনে চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়েছিলেন নবনীতা। নায়ক অবশ্য শ্যুটিংয়ের কাজেই পৌঁছেছিলেন। নায়িকা স্পষ্ট করেছেন, টিকিট আগে থেকে কাটা ছিল, প্রথম বিদেশ-ট্রিপ বাতিল করতে চাননি তিনি। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তার আগেই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কেন আলাদা হচ্ছেন তাঁরা? নবনীতা আনন্দবাজারকে বলেন-‘মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। জিতুর জীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। কিন্তু আমার হচ্ছিল’।
এদিন ফেসবুকে বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে নবনীতা লেখেন- ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না… একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবে না… টাওয়াল শেয়ার হবেনা, সানস্ক্রিন ভাগাভাগি হবে না.… কিছুই আর একসাথে হবে না…তবুও জানি এমতাবস্থায় আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো..লেখার হাত আমার বরাবরই কাঁচা, এইটা তো তোমার কাজ ছিলো..তাও নিজে একটু চেষ্টা করলাম। তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই…..প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক… ভালো থেকো জিতু কমল’।
সদ্যই ‘বিয়ের ফুল’ ধারাবাহিকের কাজে হাত দিয়েছেন নবনীতা। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন ভুলে আপতত কাজেই মন দিতে চান অভিনেত্রী।
For all the latest entertainment News Click Here