করোনা টিকার কারণে মাত্র ৫২ বছরে মৃত্যু ওয়ার্নের? বিস্ফোরক দাবি বিশেষজ্ঞদের
করোনাভাইরাস টিকার জেরেই কি আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন? তেমনই একটি সম্ভাবনা তুলে ধরলেন ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মলহোত্রা এবং অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক তথা মেডিক্যাল প্রফেশনালস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ক্রিস নীল। দুই বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, তাঁরা যে গবেষণা চালিয়েছেন, তাতে দেখা গিয়েছে যে করোনার এমআরএনএ (Covid-19 mRNA vaccine) টিকার ফলে হৃদপিণ্ডের সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিশেষত যাঁদের হৃদপিণ্ড-জনিত অল্পবিস্তর সমস্যা আছে এবং সেই বিষয়টি ধরা পড়েনি, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি হয়।
গত বছর মার্চে থাইল্যান্ডের একটি হোটেলের ঘর থেকে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার ওয়ার্নকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। অসীম এবং নীল জানিয়েছেন, ওয়ার্নের দেহের ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে যে হৃৎপিণ্ড-জনিত সমস্যা হয়েছিল। অসীমের বক্তব্য, ‘একজন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মাত্র ৫২ বছরে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন – এটা সচরাচর হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটাও ঠিক, শেষ কয়েক বছরে শেনের জীবনযাত্রা যেরকম ছিল, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো ছিল না। শেনের ওজনও স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল এবং ধূমপান করতেন। সম্ভবত তাঁর ধমনীতে কোনও দেওয়ালের মতো কিছু তৈরি হয়েছিল, যা পথটা রুদ্ধ করে দিচ্ছিল। আমি নিজের রোগীদের ক্ষেত্রে সেটা দেখেছি, আমার বাবার মৃত্যুর সময় সেটা দেখেছি- ফাইজারের এমআরএনএ কোভিড টিকার (Pfizer mRNA COVID vaccine) দুটি ডোজ নেওয়ার পর কয়েক মাস ধরে সেটা ক্রমশ বাড়ছিল।’
আরও পড়ুন: Ashes 2023 ENG vs AUS: প্রথমদিনে ডিক্লেয়ার করেও হার! টেস্টে লজ্জার নজির ইংল্যান্ডের, শুরু হয়েছিল ভারতে
অসীমের মতে, শুধু ওয়ার্নের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের প্রচুর মানুষের উপর এমআরএনএ কোভিড টিকার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু বেড়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘এই ধরনের করোনা টিকা নেওয়ার পর হৃদপিণ্ডের উপর যে গুরুতর বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা অভাবনীয়। আমার কোনও দ্বিধা নেই, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বজুড়ে আমরা যে বেশি মৃত্যুর খবর পাচ্ছি, সেটার পিছনে এটার হাত আছে। করোনার এমআরএ টিকার কারণে সেটা হচ্ছে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অবিলম্বে ওই ধরনের করোনা টিকার ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যতক্ষণ না তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসছে, ততক্ষণ (ওই টিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত)। যাতে আরও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং অকারণে তাঁদের মৃত্যু না হয়।’
আরও পড়ুন: ENG vs AUS: অবিশ্বাস্য কামিন্স! নবম উইকেটের অবিস্মরণীয় জুটিতে প্রথম অ্যাশেজ টেস্টে জয় অজিদের
উল্লেখ্য, ভারতে মূলত যে দুটি করোনা টিকা (অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন) প্রদান করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে কোনওটিই এমআরএনএ (Covid-19 mRNA vaccine) টিকা নয়। তবে ভারতেও করোনা টিকার জেরে কমবয়সিদের মধ্যে হৃদরোগ বেড়েছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শীঘ্রই গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহেল।
For all the latest Sports News Click Here