‘ওদের পক্ষে থাকতে হবে, ভারতীয়রা চাপ তৈরির চেষ্টা করে’, বিরাটকে ঠুকলেন আম্পায়ার?

শেষ কয়েক বছরে ঘরের মাঠে ভারতীয় দলের অসংখ্য ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। তাই প্রবল চাপের মধ্যে আম্পায়ারিংয়ের বিষয়টি একেবারে গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। চাপের মুহূর্তে কীভাবে নিজের স্নায়ু ঠিক রাখতে হবে, ক্রমাগত সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই অ্য়াশেজের মঞ্চে সাফল্য পেতে চান ভারতীয় আম্পায়ার নীতীন মেনন। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের মহাতারকারা সবসময় তাঁর উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন, যাতে স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে ফিফটি-ফিফটি পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে রায় দেন। যে মন্তব্যের পর পর স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বিরাট কোহলির দিকে ইঙ্গিত করেছেন নীতীন? কারণ গত মার্চেই ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের সময় অজিদের বিরুদ্ধে একটি আবেদন খারিজ করে দেওয়ার বিরাটকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে কোহলি হলে তো নিশ্চয়ই আউট দিয়ে দিতেন নীতীন।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীতীন বলেন, ‘যখনই ভারতে খেলে টিম ইন্ডিয়া, তখন প্রচুর চর্চা ও হইচই হয়। ভারতীয় দলে প্রচুর তারকা আছে, যারা সবসময় আপনার উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করে। যখনই কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ফিফটি-ফিফটি পরিস্থিতি তৈরি হয়, ওরা তখন সেই সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা যদি চাপের মধ্যে নিজের মনোবল ধরে রাখতে পারি, তাহলে ওরা কী করছে, তাতে আমরা একেবারেই পাত্তা দিই না।’

তবে কোন কোন ভারতীয় তারকার কথা বলতে চেয়েছেন, তা অবশ্য জানাননি নীতীন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নীতীনের তালিকায় বিরাটের নাম থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ চলতি বছরের মার্চেই নীতীনকে খেলার মধ্যেই খোঁচা দিয়েছিলেন বিরাট। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নীতীন তাঁকে বিতর্কিতভাবে আউট দেওয়ার পর চতুর্থ টেস্টে ভারতের বোলিংয়ের সময় একটি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) পর বিরাট বলেছিলেন, ‘যদি আমি হতাম, তাহলে নিশ্চিতভাবে আউট দেওয়া হত।’ যে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নীতীনকে সেই খোঁচা দিয়েছিলেন বিরাট, তাতে ‘আম্পায়ার্স কল’-র জন্য উইকেট হারাতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। সেইসময় ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Virat vs Babar: ‘বাবর এতটাই ভালো যে বিরাটকে ছাপিয়ে যেতে পারে’, বেশি ‘খেলা না দেখলেও’ বললেন ইমরান

সেইসব সত্ত্বেও নীতীন মনে করেন, ওই বিষয়টি আদতে শাপে বর হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর পরবর্তী তিন বছর ভারতে এত ম্যাচ খেলিয়েছেন যে চাপের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি একেবারে অভ্যেস গিয়েছে। ফলে অ্যাশেজে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা দেখেই বোঝা যায়, খেলোয়াড়দের চাপের সামনে খেই হারিয়ে না ফেলে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারি আমি। সেই বিষয়টা আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের মাটিতে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলকে নেতৃত্ব দিতে পারার বিষয়টিও অত্যন্ত বড় ব্যাপার। (যখন আমি আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম), সেইসময় আমার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু শেষ তিন বছরে আম্পায়ার হিসেবে আমি আরও ভালো হয়েছি, পোক্ত হয়েছি।’

আরও পড়ুন: WTC Final: কোহলিদের মধ্যে চরম ঔদ্ধত্য, জানতাম ওরা ধসে যাবে! তুলোধোনা প্রাক্তন ক্যারিবিয়ানের

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন থেকে মোট ১৫টি টেস্ট, ২৪টি একদিনের ম্যাচ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলিয়েছেন নীতীন। তিনি বলেন, ‘প্রথম দু’বছরে ভারতীয় উপ-মহাদেশে আম্পায়ারিং করতে পারার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। টেস্ট ম্যাচ খেলিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে খেলিয়েছি। আমি সেরা আম্পায়ারদের সঙ্গে কাজ করেছি এবং আমার আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা আরও সম্প্রসারণ করেছে খেলোয়াড়রা। নিজের চরিত্রের বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি যে চাপের মধ্যে কীরকম আচরণ করি আমি। অনেক ইতিবাচক দিকের সন্ধান পেয়েছি।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.