ODI WC- ফাইনাল ছাড়া ভারত-পাক ম্যাচ পেতে পারে আমদাবাদ, ইডেনের ভাগ্যে কী জুটছে?
অক্টোবর-নভেম্বরে হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপে হাই-প্রোফাইল ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব সম্ভবত পেতে চলেছে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর ভারতের মাটিতে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রথম ম্যাচ হবে ওডিআই বিশ্বকাপে।
বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আমদাবাদ স্টেডিয়ামে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ লাখ বসার আসন রয়েছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। এটি দেশের বৃহত্তম স্টেডিয়াম। তাই এই স্টেডিয়ামেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবছে বিসিসিআই।
বর্তমানে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পরে বিসিসিআই একটি বড় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপের সময়সূচী ঘোষণা করবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: WTC ফাইনাল খেলতে ২৩ মে ইংল্যান্ড উড়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া- রিপোর্ট
যদি সব কিছু সময়সূচী অনুযায়ী হয়, তবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে, যেখানে নাগপুর, বেঙ্গালুরু, তিরুঅনন্তপুরম, মুম্বই, দিল্লি, লখনউ, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, রাজকোট, ইন্দোর, এবং ধর্মশালায় ম্যাচগুলি আয়োজন করা হতে পারে। শুধু এই ভেন্যুগুলিতে ম্যাচ হওয়ার জন্য নয়, অনুশীলনের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। তবে এই ভেন্যুগুলোর মধ্যে মাত্র সাতটিতেই ভারতের লিগ ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আমদাবাদই একমাত্র ভেন্যু হতে পারে, যেখানে ভারত দু’টি ম্যাচ খেলবে, যদি দলটি ফাইনালে ওঠে।
জানা গিয়েছে যে, নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান তাদের বেশির ভাগ ম্যাচই চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে খেলতে পারে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেও ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একই ভাবে বাংলাদেশ তাদের বেশির ভাগ ম্যাচ কলকাতা এবং গুয়াহাটিতে খেলতে পারে। কারণ বাংলাদেশের ভক্তদের এ ক্ষেত্রে সুবিধে হবে।
আরও পড়ুন: IPL-র ‘রংচঙে’ জীবন যেন কেরিয়ারকে শেষ না করে, ২০১২-তেই কুলদীপকে সতর্ক করেন সচিন
অক্টোবর-নভেম্বর বর্ষার দক্ষিণ ভারতে বর্ষা থাকে। তাই বিসিসিআই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে দক্ষিণ ভারতের ম্যাচগুলি করে ফেলার পরিকল্পনা করছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি অনুযায়ী, বিসিসিআই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও পরামর্শ করেছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ বাদে তাদের পছন্দের ভেন্যুগুলি জানতে চেয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় দল বিসিসিআই-এর কাছে অনুরোধ করেছিল যাতে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচগুলি স্পিনারদের সাহায্যকারী ভেন্যুতে বরাদ্দ করার জন্য। বিসিসিআই-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ভারতীয় দল গত কয়েক বছরে ঘরের মাঠে স্লো ট্র্যাকে ভালো পারফর্ম করেছে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট অনুরোধ করেছিল যে, যখনই সূচি তৈরি করা হবে, শীর্ষ দলগুলির বিরুদ্ধে ভারতকে যেন ধীরগতির পিচে ম্যাচ দেওয়া হয়। তারা স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের মাঠে ম্যাচ হওয়ার সুবিধে পেতে চেয়েছে।’
For all the latest Sports News Click Here